সেই মৌসুমী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার মৌসুমী আখতার করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্মলেন্দু রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গতকাল রাতে মৌসুমীর নমুনা পরীক্ষা ফলাফল পাওয়া গেছে। মৌসুমীর মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তবে প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি।
মিরপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার মৌসুমী আখতার করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্মলেন্দু রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গতকাল রাতে মৌসুমীর নমুনা পরীক্ষা ফলাফল পাওয়া গেছে। মৌসুমীর মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তবে প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি।

লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, ‘ময়নাতদন্তের সময় রংপুরের তাজহাট থানার পুলিশের অনুরোধে রংপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ করেছিল। এ ছাড়া, পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে।’

পুলিশের ধারণা, গত ২১ মে গাজীপুর থেকে ট্রাকে করে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বাড়িতে ফিরছিলেন মৌসুমী। রংপুরের তাজহাট এলাকায় এসে চালক বুঝতে পারেন মৌসুমী মারা গেছেন। এরপর তার মরদেহ রাস্তায় ফেলে চলে যান। তাজহাট থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রমেক মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে ২৩ মে পুলিশ গোলাম মোস্তফার কাছে তার মেয়ের মরদেহ হস্তান্তর করে।

গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, মৌসুমীর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাবেন বলে বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নিশাদের সঙ্গে কথা বলেন। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে মনে করে তিনি মৌসুমীর মরদেহ নিয়ে যেতে নিষেধ করেন। রংপুরেই মরদেহ দাফনের জন্য একজন লাশবাহী গাড়ির চালককে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মরদেহ দাফন না করে তিস্তা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

গত ২৪ মে রাতে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্ধন গ্রামে তিস্তা নদী থেকে হাসপাতাল মর্গের ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় মৌসুমীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঈদের দিন বিকালে আদিতমারী থানা চত্বরে নামাজে জানাজা শেষে পাটগ্রামের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মৌসুমী আখতারের মরদেহ দাফন করা হয়।

গতকাল বুধবার রাতে বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নিশাদ সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, তিনি মৌসুমী আখতারের মরদেহ গ্রামে এনে দাফন করতে নিষেধ করেননি, বরং সহায়তা করতে চেয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago