ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধে মধ্যস্থতায় আগ্রহী ট্রাম্প

ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। লাদাখ সীমান্তে দুই থেকে আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চীন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ফটো রয়টার্স

ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। লাদাখ সীমান্তে দুই থেকে আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চীন।

গার্ডিয়ান জানায়, ভারত ও চীনের মধ্যকার বিরোধে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

করোনা নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মধ্যেও দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে মধ্যস্থতা করতে ইচ্ছুক ট্রাম্প।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, সম্প্রতি তাঁবু খাটিয়ে লাদাখ সীমান্তে চীনের প্রায় একশ সেনা শিবির তৈরি করা হয়েছে। বাঙ্কার নির্মাণের ভারী উপকরণও মজুত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সৈন্য সমাবেশ করে টহল জোরদার করেছে ভারত।

গত ৫ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত লাদাখে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রায় আড়াইশ চীনা সেনার সঙ্গে মারামারি হয় ভারতীয় বাহিনীর। লোহার রড, লাঠি এমনকি ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে দুপক্ষের প্রায় ১০০ সেনা আহত হয়।

বুধবার, টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ভারত ও চীন দুই দেশকেই জানিয়েছি যে আমেরিকা তাদের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সীমান্ত বিরোধের মধ্যস্থতা বা সালিশি করতে প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। আপনাদের ধন্যবাদ!’

এ ঘটনায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাও লিজিয়ান জানান, বর্তমানে চীন ও ভারতের সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চীন তার আঞ্চলিক সুরক্ষার পাশাপাশি ভারত-চীন সীমান্ত অঞ্চলেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তবে, সম্প্রতি এক বিবৃতিতে পরিস্থিতির জন্য চীনকে দায়ী করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সাধারণ টহল কাজে বাধা দিয়ে চীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী অত্যন্ত দায়িত্বশীল।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago