ভারত থেকে ফিরলেন আরও ২২ বাংলাদেশি

ভারতে লকডাউনে আটকা পড়া ২২ জন বাংলাদেশি দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় পর সিলেট সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে ২০ জন এবং তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে দুই জন দেশে ফিরে আসেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।

তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে আরও দুই বাংলাদেশির ফিরবার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বাংলাদেশে আটকা পড়া ১২৭ জন ভারতীয় নাগরিক এই দুই সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফেরার কথা থাকলেও সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেওলা হয়ে ৭৯ জন এবং তামাবিল হয়ে পাঁচ জন ফিরে গেছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, শেওলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে বাংলাদেশে ফেরা ২০ জনের মধ্যে ১১ জন সিলেট জেলার, মৌলভীবাজারের সাত জন, সুনামগঞ্জের এক জন এবং রাজশাহীর এক জন রয়েছেন। তামাবিল হয়ে ফেরা দুজনই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা।

ভারত থেকে শেওলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে দেশে ফিরে আসাদের মধ্যে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের ভক্ত রায় ও তার স্ত্রী রয়েছেন।

ভক্ত রায় দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ‘গত ৮ মার্চ আসামের করিমগঞ্জ জেলায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ফিরে আসার আগেই ২৪ মার্চ থেকে ভারতে লকডাউন শুরু হলে আমরা আটকা পড়ে যাই। এর মধ্যে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখি। একসময় তারা জানায় যে আমরা দেশে ফিরতে পারব এবং তার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘অনলাইনে আবেদনের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আজ আমরা সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পেরেছি।’

সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল জানান, ‘ভারত থেকে যারা ফিরছেন, সীমান্তে মেডিকেল টিম তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে। যাদের কোন উপসর্গ নেই, তাদেরকে যার যার বাড়িতে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘ভারত থেকে দেশে ফেরা সবাই করোনা আক্রান্ত নয় মর্মে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছেন। তারপরও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদের সবার তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসন ও পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

25m ago