নোয়াখালীতে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা, স্বামী পলাতক

মিরপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্ত্রী ও তিন মাসের শিশু সন্তানকে হত্যা করে পালিয়েছে ঘাতক আকবর আলী বাবর। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার ৬ নং নোয়াখালী ইউনিয়নের তিরানব্বই সাল্লা প্রকাশ কাজির টেক গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর আকবর আলী বাবরের মা ও ছোটভাইও পালিয়েছেন। নিহতরা হচ্ছেন- ঘাতক আকবর আলী বাবরের স্ত্রী বিবি মরিয়ম আক্তার (২৫) ও তার তিন মাস বয়সী মেয়ে মায়মুনা আক্তার (তিন মাস)।

খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়খালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল করিম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার গাংচিল গ্রামের মৃত আবুল কাশেম মোল্লার মেয়ে বিবি মরিয়মের সঙ্গে আট বছর আগে সদর উপজেলার কাজির টেক গ্রামের মৃত সোলেমানের ছেলে আকবর আলী বাবরের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ছয় ও পাঁচ বছর বয়সী দুই ছেলে ও তিন মাস বয়সী এক মেয়ে আছে।

নিহত গৃহবধূর মা ফাতেমা বেগম ও ভাই আব্দুল হাই জানান, মরিয়মের ছোট মেয়ে মায়মুনা জন্মের দুই মাস আগে তিনি বাবার বাড়ি গাংচিলে মায়ের কাছে থাকেন। ওই সময় আকবর আলী প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম ও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে স্বামীর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেন তিনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা আকবর মরিয়মকে কয়েক দফা মারধর করেছে বলে জানায় তাদের ছয় বছরের ছেলে সুজন। ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে দুই ছেলে ঘুমিয়ে পড়লে মরিয়মকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে লাশ বাড়ির অদূরে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে এবং তিন মাস বয়সী মেয়েটিকেও হত্যা শেষে পুকুরের পানিতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজন মা ও মেয়ের লাশ দেখে স্থানীয় নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ও ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মাধ্যমে সুধারাম মডেল থানায় খবর পাঠায়। খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ-প্রশাসন) দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মো. আব্দুর রহিম ও সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে স্বামী খুন করে পালিয়েছে। নিহত গৃহবধূর বাবার পরিবারের ও স্থানীয়দের ভাষ্য পরকীয়া প্রেমের জের ধরেই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের স্বামীকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তাকে আটক করতে পারলেই হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।’

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

5h ago