বন্ধ থাকছে রাইড শেয়ারিং
কাল থেকে বাস, মিনিবাসসহ সড়কে অন্যান্য গণপরিবহন চালু হলেও বন্ধ থাকছে রাইড শেয়ারিং পরিষেবা। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পাঠাও, উবার ও সহজের মতো রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকে তাদের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলেছে বিআরটিএ।
বিআরটিএ এর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) লোকমান হোসেন মোল্লা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতকাল সমস্ত রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকে (মোট ১২টি) এই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
রাইড শেয়ারিং পরিষেবা বন্ধ রাখার ব্যাপারে চিঠিতে নির্দিষ্টভাবে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ ব্যাপারে একাধিকবার চেষ্টার পরও বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগযোগ করতে পারেনি দ্য ডেইলি স্টার।
বিআরটিএ এর এক কর্মকর্তা জানান, রাইড শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ যানবাহনই হলো মোটরসাইকেল। এক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা চালক ও যাত্রী উভয়ের পক্ষেই সমস্যাজনক হতে পারে বলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাইড শেয়ারিং কোম্পানি ‘সহজ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদির মনে করেন সরকারের উচিত তাদেরকে কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেওয়া।
দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘জনগণ এই সময়ে গণপরিবহনের চাইতে রাইড শেয়ারিংকেই বেছে নেবে। কারণ বাস ও অন্যান্য গণপরিবহের তুলনায় রাইড শেয়ারিং নিরাপদ।’
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য রাইড শেয়ারিং হুমকি মনে করেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘চালক ও যাত্রী উভয়ই মাস্ক পড়বেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম।’
এদিকে, গত দুই মাস ধরে পাঠাও অ্যাপের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং সেবা বন্ধ থাকলেও যাত্রীদের অনুরোধে অনেক চালকই অফলাইনে নিজেদের মতো ভাড়া ঠিক করে সেবা দিয়েছেন বলে জানান ‘পাঠাও’ এর পরিচালক (মার্কেটিং এবং জনসংযোগ বিভাগ) সৈয়দা নাবিলা মাহাবুব।
দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘রাইড শেয়ারিং বন্ধ রেখে কার্যত যাত্রীদের অফলাইনে দর কষাকষি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে বাধ্য করা হচ্ছে। অন্যদিকে গণপরিবহনও তুলনামূলকভাবে অনিরাপদ। কারণ সেখানে সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে মানা যায় না।’
যাত্রীদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও বৃহত্তর স্বার্থে অন্যান্য গণপরিবহনের মতো রাইড শেয়ারিং পরিষেবাও পুনরায় চালুর অনুমতি দেওয়ার জন্য বিআরটিএ এর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, রাইডারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ফেসমাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশকসহ অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করে আসছে ‘পাঠাও’।
Comments