সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের দাবিতে নাগরিক ও মানবাধিকার সংগঠনের যৌথ স্মারকলিপি

দেশে করোনাভাইরাস দুর্যোগকালীন সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, নারী নির্যাতন, জমি দখল, গ্রেপ্তার, সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সরকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নাগরিক ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
রোববার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বরাবর সংগঠনগুলোর প্রধানদের যৌথ স্বাক্ষর সম্বলিত ওই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে দেশের বিভিন্ন স্থানের সংখ্যালঘু নির্যাতন, হয়রানি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উল্লেখ করে তার প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের হিসাব অনুযায়ী গত এপ্রিল-মে মাসে দেশে অন্তত ৩০টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
‘কোনো কোনো এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছে। কারণ প্রায় সব ঘটনার সঙ্গেই স্থানীয় প্রভাবশালীরা জড়িত। এছাড়াও সংখ্যালঘু নির্যাতনের একটি পরিচিত কৌশল হচ্ছে ফেসবুকে মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে ধর্মীয় অবমাননা করা হয়েছে এই অজুহাতে বাড়িতে হামলা করা, আগুন লাগানো ইত্যাদি।’
এছাড়াও স্মারকলিপিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ নিয়েও উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এড. সুলতানা কামাল, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হক, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, নারী নেত্রী ও ‘নিজেরা করি’ এর সমন্বয়কারী খুশী কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং এইচ.ডি.আর.সির অবৈতনিক উপদেষ্টা ড. আবুল বারকাত, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এড. রাণা দাশগুপ্ত, রিবের নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ব্লাস্টের অনারারি নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এড. জেড. আই. খান পান্না, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, সামাজিক আন্দোলনের সহসভাপতি তরারক হোসাইন, অর্পিত সম্পত্তি প্রতিরোধ আন্দোলনের সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা কাজল দেবনাথ এবং এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।
Comments