বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করার কাজে দূত হলেন তামিম
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ার কাজে জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-র গুডউইল দূত হয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দূত হিসেবে তামিম সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরবেন বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি-র বিভিন্ন কর্মকাণ্ড।
সোমবার (১ জুন) ডব্লিউএফপি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তামিমকে দূত করার কথা জানায়।
জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির অংশ হয়ে তারকা এই ক্রিকেটার জানান, ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হতে পেরে তিনি সম্মানিত, ‘আমি জাতিসংঘের সংস্থা ডব্লিউএফপি-র জাতীয় গুডউইল অ্যামবাসাডর হিসেবে নিযুক্ত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এই সংস্থাটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করার জন্য কাজ করে চলেছে।’
সম্প্রতি করোনাভাইরাস মহামারিতে সংকটে পড়া মানুষের পাশে সক্রিয়ভাবে দাঁড়াচ্ছেন তামিম। তার আশা এবার জাতিসংঘের সঙ্গে যুক্ত থেকেও অবদান রাখতে পারবেন তিনি, ‘যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় মাত্রায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তবুও দারিদ্র্যের হার এখনও প্রকট, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে। চলমান কোভিড-১৯ মহামারী অনেকের জীবনকেই আরও বেশী সংকটময় করে তুলেছে। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করার আশা রাখি যাতে ডব্লিউএফপি ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে সহযোগিতা প্রয়োজন এমনসব পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করা তামিমকে নিজেদের কর্মসূচিতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ডিরেক্টর রিচার্ড রাগান, ‘তামিম একজন সফল ক্রিকেটার যে দেশে এবং বিদেশে অনেকের কাছেই সমানভাবে প্রিয়। জনপ্রিয়তা ও নাগালের পাশাপাশি তামিমের রয়েছে কর্মক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকমের নৈতিকতা, মানুষের প্রতি সমবেদনা ও জনহিতকর কাজের স্পৃহা। ডব্লিউএফপি পরিবারে তাকে পেয়ে আমরা ভীষণভাবে উচ্ছ্বসিত।’
সংস্থাটি জানায়, জাতীয় গুডউইল অ্যামবাসাডর হিসেবে কাজ করার সময় তামিম খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন কীভাবে ডব্লিউএফপি সরকারের সহযোগিতায় ক্ষুধাশুন্যতা অর্জনের জন্য কাজ করে চলেছে। তামিম সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরবেন বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি-র বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যা দেশব্যাপী ৬৪ টি জেলায় স্কুলে খাদ্যপ্রদান, পুষ্টি ও জীবিকার পাশাপাশি কক্সবাজারে শরণার্থীদের নিয়ে অনেক ধরনের কাজ করে থাকে।
ডব্লিউএফপি বাংলাদেশে ১৯৭৪ সাল থেকে কাজ করছে এবং এ পর্যন্ত ১৫৫ মিলিয়ন অরক্ষিত ও খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করেছে। ২০১৯ সালে ডব্লিউএফপি বাংলাদেশে ১.৭ মিলিয়ন মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করেছে।
Comments