প্রথমবারের মতো বেনাপোল দিয়ে রেলপথে মরিচ, হলুদ, আদা আমদানি

স্থলপথে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় গতকাল রোববার রাতে রেলের ৪২টি ওয়াগানে করে ভারত থেকে ২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ, হলুদ ও আদা বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম আমদানি করা হয়েছে।
benapole landport
ফাইল ফটো

স্থলপথে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় গতকাল রোববার রাতে রেলের ৪২টি ওয়াগানে করে ভারত থেকে ২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ, হলুদ ও আদা বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম আমদানি করা হয়েছে।

করোনায় ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় স্থলপথে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় এই প্রথম রেলপথে শুরু হয়েছে খাদ্য পণ্য আমদানি। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি।

কাস্টমস ও রেলওয়ে বিভাগের পণ্য ছাড়করণের কার্যক্রমও শুরু করেছে।

সোমবার সকালে কাস্টমস ও বন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পণ্য চালানটি খালাস দেওয়া হয়।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা নাইম মিরণ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বর্তমানে স্থলপথে আমদানি বন্ধ রয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় এসব পণ্য রেলপথে আমদানি করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, বাণিজ্যিকভাবে এ জাতীয় পণ্য রেলে আমদানি হলে দুই দেশের বাণিজ্য বাড়বে।’

ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত পণ্য খালাস নিতে পারেন, সে জন্য কাস্টমস বিভাগ গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বগুড়ার আমদানিকারক রুবেল এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি বাদশা মিয়া বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে স্থলপথে আমদানি বন্ধ থাকায় আমাদের এসব পণ্য আড়াই মাস ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আটকে ছিল। অনেক লোকসান হচ্ছিল। অবশেষে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় রেলপথে এসব পণ্য এসেছে। এতে আমরা কিছুটা হলেও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবো।’

ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলপথে এই প্রথম নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা হলো। রেলপথে এ জাতীয় পণ্য আমদানি করতে ভারতীয় দূতাবাস, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার ও ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স কাজ করেছে।’

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আবদুল জলিল বলেন, ‘আমদানিকারকরা যাতে রেলে আমদানি করা পণ্য দ্রুত খালাস নিতে পারেন সেজন্য বন্দরের কর্মীরা রাতদিন কাজ করছেন।’

বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে বেনাপোলে রেলকার্গো চালু এখন সময়ের দাবি। আমদানিকারকের সামনে মুক্তবাজার অর্থনীতি, বিকল্প পণ্য, বিকল্প দেশ উন্মুক্ত। বহু আমাদানিকারক বেনাপোল থেকে চট্টগ্রাম, মোংলা ও অন্যান্য বন্দরে চলে গেছেন।’

Comments