করোনা উপসর্গ নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

গ্রামের মাটিতে দাফনে বাধা, নদীর পাড়ে দাফন করল পুলিশ

করোনা উপসর্গ নিয়ে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতেল মারা গেছেন ১৯ বছর বসয়ী এক অন্তসত্ত্বা নারী। আজ ভোরে মরদেহ দাফনের জন্য বাবার বাড়ি নওগাঁর বদলগাছির তাজপুরে নেওয়া হয়। কিন্তু, গ্রামবাসীর বাধার কারণে মরদেহ হলে বাধা দেয় দাফন করা সম্ভব হয়নি। পরে পুলিশ তার মরদেহ নদীর পাড়ে দাফন করে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

করোনা উপসর্গ নিয়ে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতেল মারা গেছেন ১৯ বছর বসয়ী এক অন্তসত্ত্বা নারী। আজ ভোরে মরদেহ দাফনের জন্য বাবার বাড়ি নওগাঁর বদলগাছির তাজপুরে নেওয়া হয়। কিন্তু, গ্রামবাসীর বাধার কারণে মরদেহ হলে বাধা দেয় দাফন করা সম্ভব হয়নি। পরে পুলিশ তার মরদেহ নদীর পাড়ে দাফন করে।

গতকাল রাত সাড়ে দশটার দিকে হাসপাতালে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান ওই নারী।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সক শফিক আমিন কাজল বলেন, ‘গতকাল রাত নয়টায় ওই নারী জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হন। এর দেড়ঘণ্টা পরে তিনি মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এরআগে তিনি জ্বর নিয়ে নওগাঁ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় তাকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। করোনার উপসর্গ থাকায় তাকে পরে আমাদের এখানে পাঠানো হয়। তিনি ঢাকায় স্বামীর কাছে থাকতেন। কিছুদিন আগে মা-বাবার কাছে ফিরে আসেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা গেছে।’

মৃতুর পরে আজ ভোর চারটার সময় মরদেহ তার বাবার বাড়িতে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে শত শত গ্রামবাসী ও তার চাচা লাশ গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয়। সেই সঙ্গে গ্রামে দাফন করতে দিবে না বলে পুলিশকে জানায় গ্রামবাসী। পরে সকাল সাতটার সময় পুলিশ মরদেহটি একটি খাসজমিতে দাফন করার ব্যবস্থা নেয়। গ্রামবাসীরা সেখানেও বাধা দেবার চেষ্টা করে বলে জানান কাজল।

বদলগাছি থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বলেন, ‘গ্রামের লোকজন মৌখিকভাবে লাশ দাফনে বাধা দেয়। গ্রামে তাদের নিজস্ব জমি না থাকায় তাজপুর গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার দূরে ছোট যমুনার একটি বাঁধে তাকে দাফন করা হয়েছে।’

মা-বাবার বরাত দিয়ে ডাক্তার শফিক আমিন কজন বলেন, ‘এমনকি ওই নারীর মা-বাবাকেও গ্রামে ডুকতে দেয়নি গ্রামবাসী।’

এ বিষয়ে ওসি বলেন, ‘আমরা তাদের গ্রামে রেখে এসেছি। এখন তাদের গ্রামেই থাকার কথা। আসলে মৃত নারীর বাবা-মা আক্কেলপুরে তার নানাবাড়িতে থাকেন।’

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

Now