কলেজে ভর্তির অপেক্ষা বাড়ছে
শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) এবং সমমানের পাঠ্যক্রমের অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া ১০ মে থেকে শুরু করার কথা ছিল শিক্ষা বোর্ডগুলোর। তবে এ বছরের মাধ্যমিক (এসএসসি) এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল সঠিক সময়ে প্রকাশ করতে না পারায় তারা তা করতে পারেনি।
শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রত্যাশা করেছিলেন যে ৩১ মে ফলাফল ঘোষণার করে ৬-৮ জুন ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। তবে এখন তারা মনে করছেন, এই মাসে এই প্রক্রিয়াটি চালু করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা পুরোপুরি নির্ভর করছে নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উপর। আমরা এই মাসে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করতে পারব না।’
দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আন্তঃ বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন যে তারা দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
তিনি বলেন, ‘অবস্থার উন্নতি হওয়া শুরু হলে আমরা ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা করব।’
তিনি জানান, অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করলে প্রায় ১৬ লাখ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের, যাদের বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ নেই, ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বাড়ির বাইরে যেতে হবে। এতে করে তাদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।
বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকের বাড়িতে ইন্টারনেটের সংযোগ না থাকায় অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে স্থানীয় কম্পিউটারের দোকানে যেতে হবে। এতে তাদের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকার ভাইরাসটির বিস্তার রোধে এই ছুটি বাড়িয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত করেছে।
২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
গত রোববার প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে মোট ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৯ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছেন।
একাধিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের কয়েক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
এইচএসসি এবং সমমানের শিক্ষাক্রমের জন্য শিক্ষাবর্ষ সাধারণত প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে শুরু হয়।
ক্লাস ও শিক্ষাবর্ষ দেরীতে শুরু হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে জিয়াউল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দুবছর পাবে। শিক্ষাবর্ষের সময়সূচির পিছনর কারণে তাদের একাডেমিক ক্ষতি কমানোর জন্য আমরা ব্যবস্থা নেব।’
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সরকার সম্পূর্ণ অনলাইন আবেদন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে।
গত বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এবং এসএমএসের মাধ্যমে কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। এসএমএস ভিত্তিক পদ্ধতি এ বছর থেকে পাওয়া যাবে না।
Comments