নতুন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের চিন্তার প্যাটার্ন বদলাতে হবে!
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুলাই মাসে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ দিয়ে ফিরবে দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে মাঠের লড়াই ফিরে এলেও করোনাভাইরাসের থাবায় বদলে যাবে অনেক চেনা ছবি। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন মনে করেন, নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ক্রিকেটারদের নিজ নিজ মস্তিষ্কের চেনা ছকে আনতে হবে বদল।
ব্রিটিশ সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ৮ জুলাই থেকে শুরু হবে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ইতোমধ্যে সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচিও প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের সূচি নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড
দর্শকবিহীন মাঠে জৈব সুরক্ষিত পরিবেশ হবে খেলা। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সবাইকে চলতে হবে। তাই আগামীর ক্রিকেটে বদল আসবে অনেক কিছুতেই। নাসেরের মতে, চট করে এসব পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে না ক্রিকেটারদের জন্য, ‘কিছু ব্যাপার আছে যা তারা ১০ বছর ধরে অনুশীলন করে আসছে, ক্রিকেট বল চকচকে করা, উইকেট পেলে উদযাপন করা। এসব বদলানো তাদের জন্য কঠিন।’
‘ক্রিকেট বলে লালা লাগাতে তারা অভ্যস্ত এবং এখন এটা করা যাবে না। কাজেই তাদের মস্তিষ্ককে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে।’
মূলত রিভার্স সুইং পেতে বলের একদিক চকচকে করাটা পেস বোলারদের জন্য খুব জরুরি। কিন্তু স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে লালা ব্যবহারে আপত্তি চলে এসেছে। এতে বিশ্বের অনেক পেস বোলারই নিজেদের ভাণ্ডারের বড় একটি অস্ত্র হারানোর শঙ্কায় উদ্বিগ্ন।
তবে ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জো রুটের ভাবনাটা আবার ভিন্ন। তার ধারণা, এই সীমাবদ্ধতার ফলে বোলাররা নিখুঁত হওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে পারেন, উদ্ভাবন করতে পারেন নতুন কোনো কৌশল, ‘এটা আমাদের দক্ষতা বাড়াতে পারে। সাহায্য ছাড়া এমনিতে খেলতে হলে লাইন, লেন্থে উন্নতি করার সুযোগ থেকে যাচ্ছে।’
‘বোলাররা অন্য কোনো উপায় বের করতে পারে। ক্রিজের দিক বদল করে কোণ তৈরি করতে পারে। সিম ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনতে পারে।’
Comments