জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণে অনিয়ম, ২ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত
জেলেদের পুনর্বাসনে খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বরগুনার দুই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘এসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছিল। সুপারিশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো। সামাজিক সুরক্ষার সুযোগ-সুবিধা যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে ভোগ করতে পারে সেজন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে এবং এ ব্যাপারে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।’
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে মৎস্য ভিজিএফের ৮০ কেজির পরিবর্তে ৬০ কেজি চাল প্রদান ও তালিকার বাইরের মানুষসহ দুই জন গ্রাম পুলিশকে চাল প্রদানের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
একই উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ও সাত নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুন মিয়া, আট নং ওয়ার্ডের সদস্য হানিফ ও এক, দুই, তিন নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মোসা. রানী এবং সাত, আট ও নয় নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ছাবিনা ইয়াসমিন পলির বিরুদ্ধে জেলেদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম, ভুয়া টিপসইয়ের মাধ্যমে চাল উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ এবং ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
ওই আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কেন চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বরগুনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
Comments