করোনা প্রভাব: পিচের চরিত্রে বদল আনার প্রস্তাব কুম্বলের

করোনাভাইরাসের কারণে বল লালা লাগানো নিষিদ্ধের প্রস্তাব হয়েছে। বল চকচকে করতে আলাদা কোন পদার্থ ব্যবহার আগে থেকেই নিষিদ্ধ। করোনা পরবর্তী সময়ে টেস্ট ম্যাচে স্যুয়িং পেতে তাই পেস বোলাররা পড়তে যাচ্ছেন বড় সমস্যায়
Anil Kumble
ফাইল ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের কারণে বল লালা লাগানো নিষিদ্ধের প্রস্তাব হয়েছে। বল চকচকে করতে আলাদা কোন পদার্থ ব্যবহার আগে থেকেই নিষিদ্ধ। করোনা পরবর্তী সময়ে টেস্ট ম্যাচে স্যুয়িং পেতে তাই পেস বোলাররা পড়তে যাচ্ছেন বড় সমস্যায়। বোলারদের এই সমস্যা কমিয়ে আনতে বিকল্প চিন্তা অনিল কুম্বলের। আইসিসির ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যানের মতে পিচের চরিত্র বোলার বান্ধব করে খেলায় আনা যেতে পারে ভারসাম্য।

কয়েকদিন আগে কুম্বলের নেতৃত্বেই আইসিসি ক্রিকেট কমিটি করোনা পরবর্তী সময়ে আপাতত লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে। আবার বল চকচকে করতে বাড়তি কোন পদার্থ ব্যবহারের প্রস্তাবও করেনি।

এরপর থেকেই বিভিন্ন দেশের পেস বোলাররা জানিয়ে আসছেন নিজেদের উদ্বেগ। এসব নিয়ে আলোচনার মাঝে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে কুম্বলে জানান নজর দিতে হবে বাইশ গজের চরিত্রে,  ‘ক্রিকেটে কিন্তু পিচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিচের চরিত্র বদলে ফেলে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের সমান সুযোগ তৈরি করা যায়, আনা যায় ভারসাম্য।’

ভারতের হয়ে ৬১৯ টেস্ট উইকেটের মালিক এক লেগ স্পিনার মনে করেন, পেসারদের সুবিধা দিতে হবে উইকেট থেকেই,  ‘পিচে বাড়তি ঘাস রাখা যেতেই পারে। এমন হলে পেসাররা সুবিধা পাবে।’

তবে পুরনো বলে স্যুয়িংয়ের অস্ত্র ধারহীন হয়ে গেলে সব কন্ডিশনে বাড়তে পারে স্পিনারদের গুরুত্ব। কুম্বলে মনে করেন বাড়তি স্পিনার খেলিয়ে দলগুলো বোলিংয়ের ঘাটতি পূরণ করতে পারে, ‘সব কন্ডিশনে টেস্টে দুজন স্পিনার খেলুক না। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে বলের এক প্রান্ত চকচকে করার ব্যাপার নেই। টেস্টে আছে। বাড়তি স্পিনার খেলিয়ে এই ঘাটতি মেটানো যায়।’

কৃত্রিম পদার্থ দিয়ে বল চকচকে করার প্রস্তাব করেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু বল টেম্পারিং নিষিদ্ধ থাকায় তা শিথিল করার কথা ভাবেনি কুম্বলেদের কমিটি,  ‘বলের উপর কৃত্রিম পদার্থ ব্যবহারে কড়া নিষেধাজ্ঞা আছে, আমরা তা শিথিল করতে চাইনি।’

 

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago