শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ উল্লেখিত চিঠি শেয়ার করেছেন ট্রাম্প

হোয়াইট হাউসের কাছের একটি পার্কে গত ১ জুন সন্ধ্যায় যারা বিক্ষোভ করেছেন, তাদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া একটি চিঠি টুইটারে শেয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Donald Trump.jpg
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

হোয়াইট হাউসের কাছের একটি পার্কে গত ১ জুন সন্ধ্যায় যারা বিক্ষোভ করেছেন, তাদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া একটি চিঠি টুইটারে শেয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চিঠিটি সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের উদ্দেশে লিখেছেন ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী জন ডউড। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে গত ৩ জুন একটি বিবৃতি দিয়েছেন জেমস ম্যাটিস। সেই বিবৃতির জবাব দিতেই এই চিঠি দিয়েছেন জন ডউড।

আজ শুক্রবার সিএনএন’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কোনো ধরনের প্রমাণ বা উদ্ধৃতি ছাড়াই ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের অদূরের লাফায়েতে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেনি এবং তারা প্রকৃত বিক্ষোভকারীও নয়। তারা সন্ত্রাসী। আগুন দেওয়া ও ভাঙচুর চালাতে তারা শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়েছে। পুলিশ যখন কারফিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন তারা (বিক্ষোভকারীরা) পুলিশকে গালাগাল ও অসম্মানও করেছে।

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে টানা দশ দিনের মতো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ চলছে। দেশটির ৭৫টির বেশি শহরে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় ৪০টিরও বেশি শহরে জারি করা হয়েছিল কারফিউ। ঘটেছে হতাহতের ঘটনাও। বর্তমানে পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ হতে শুরু করায় অনেক শহরে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে।

চলমান বিক্ষোভের মুখে জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় মিনেসোটার পুলিশ অফিসার ডেরেক চভিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ থার্ড ডিগ্রি থেকে বাড়িয়ে আরও গুরুতর সেকেন্ড ডিগ্রিতে উন্নীত করা হয়েছে। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সময় সেখানে উপস্থিত থাকা অপর তিন পুলিশ সদস্যকেও হত্যায় সহায়তার দায়ে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলায় মূল অভিযুক্ত ডেরেক চভিন ছাড়াও এখন নতুন করে সহযোগিতার অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন- টমাস লেন (৩৭), জে আলেকজান্ডার কুয়েং (২৬) ও টাউ থাও (৩৪)।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

9h ago