ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আবারও প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে গতকাল রাতে তৃতীয়বারের মতো প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তার কিডনি ডায়ালাইসিসও ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে তার শারীরিক অবস্থার আর অবনতি হয়নি। গত বৃহস্পতিবার তার কিডনি ডায়ালাইসিস ঠিকমতো করা যায়নি। গতকালের তুলনায় আজকে অক্সিজেনও কম মাত্রায় দিতে হচ্ছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে গতকাল রাতে তৃতীয়বারের মতো প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তার কিডনি ডায়ালাইসিসও ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে তার শারীরিক অবস্থার আর অবনতি হয়নি। গত বৃহস্পতিবার তার কিডনি ডায়ালাইসিস ঠিকমতো করা যায়নি। গতকালের তুলনায় আজকে অক্সিজেনও কম মাত্রায় দিতে হচ্ছে।

আজ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি ও অধ্যাপক ডা. নজীবের উদ্ধৃতি দিয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘কিডনি রোগের জন্য আগে সপ্তাহে তিন দিন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ডায়ালাইসিস করাতে হত। কিন্তু, করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এখন প্রতিদিন করতে হয়। এর মধ্যে, গত ৪ জুন যখন তার কিডনি ডায়ালাইসিস শুরু হয়, সে সময় শারীরিক অবস্থার কারণে ডায়ালাইসিস সম্পন্ন করা যায়নি। গতকাল সারাদিন তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। সারাদিনই তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। ডায়ালাইসিস ও প্লাজমা থেরাপির কারণে গতকালের তুলনার আজকে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো।’

‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জ্ঞান আছে, স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন ও খাবার খাচ্ছেন। আজ সকালে উঠে নাশতা করেছেন। জ্বরও নেই, তবে মাঝেমধ্যে সামান্য শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মূল সমস্যা তার ফুসফুসের অবস্থা ভালো না। সেই জন্য তাকে অ্যান্টিবায়োটিকসহ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এই সময়টা তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবমিলিয়ে আমরা আশাবাদী। সবাই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য দোয়া করবেন’, যোগ করেন ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষাতেই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা শনাক্ত হওয়ার পরেই তার স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীরও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

আরও পড়ুন:

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন দিতে হচ্ছে

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার ‘একটু অবনতি’

‘আমি সুস্থ হয়ে উঠবো, সুস্থ হয়ে উঠতেই হবে’

‘আমি ভালো আছি’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা পজিটিভ

বিএসএমএমইউর পরীক্ষাতেও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা পজিটিভ

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পর শিরীন হক ও বারিশ চৌধুরীও করোনায় আক্রান্ত

প্লাজমা থেরাপি নিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এবারের উদ্যোগ ‘প্লাজমা ব্যাংক’

আমাদেরই সবার আগে এই কিট বিশ্ববাসীর সামনে আনার সুযোগ ছিল: ড. বিজন

২৫ দিনে ৩০১ শয্যার করোনা হাসপাতালের জন্ম অথবা অপমৃত্যু!

মুক্তিযুদ্ধ, গণস্বাস্থ্য, ডা. জাফরুল্লাহ ও মাছ চোর

Comments

The Daily Star  | English
Garment factory owners revise minimum wage upwards to Tk 12,500

Workers’ minimum wage to be reviewed

In an effort to bring normalcy back to the industries, the government will review the workers’ wage through the minimum wage board, the interim government has decided.

4h ago