নারায়ণগঞ্জের ৩ এলাকা ‘রেড জোন’, দুটি ‘গ্রিন’
অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা রেড জোন হিসেবে নারায়ণগঞ্জের তিনটি এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এগুলো হলে শহরের আমলাপাড়া, জামতলা ও সদর উপজেলার রূপায়ন সিটি।
একইসঙ্গে সদর উপজেলার সস্তাপুর ও কোতয়ালের বাগ এলাকাকে কম ঝুঁকিপূর্ণ বা গ্রিন জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আজ রবিবার দুপুরে উপজেলার চাঁদমারী এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘শহরের আমলাপাড়া, জামতলা ও রূপায়ন সিটি লকডাউনের আওতায় থাকবে। উক্ত এলাকা থেকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো ব্যক্তি বাইরে আসতে পারবেন না বা বাইরে থেকে কোনো ব্যক্তি উক্ত এলাকায় যেতে পারবেন না। উক্ত এলাকায় কোনো গণপরিবহন থামবে না। উক্ত এলাকায় কাঁচা বাজার বন্ধ করে ভ্রাম্যমাণ বাজারের ব্যবস্থা করা হবে। ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে শুধু কর্মচারীরা থাকবেন, অন্যদের যাতায়াত আপাতত বন্ধ করা হলো।’
নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ ইমতিয়াজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যেসব এলাকায় এক লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১০ জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত সেগুলো অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন, লাখে ৯ থেকে ৩ জন হলে ঝুঁকিপূর্ণ বা ইয়োলো জোন ও লাখে ৩ জনের কম হলে কম ঝুঁকিপূর্ণ বা গ্রিন জোন ঘোষণা করা হচ্ছে। সেই হিসেবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে লকডাউন করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো রেড জোনকে ইয়োলো জোনে নামিয়ে আনা এবং গ্রিন জোন যেন ইয়োলো জোনে না যেতে পারে সেজন্য কাজ করা। লকডাউনকৃত এলাকার ১৫ দিন কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। যারা চাকরি কিংবা জরুরি প্রয়োজনে বের হবেন, তাদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যথায় জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পুলিশ ও কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে মাইকিং করে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি এলাকার রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেখানে পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশেই দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ রাখার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জেও দোকানপাট ও বিপণিবিতানগুলো বন্ধ ছিল। এরইমধ্যে ঈদের কেনাকাটার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিতভাবে দোকানপাট খোলার কথা জানানো হয়। সবশেষ গত ১০ মে থেকে বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
Comments