স্টোকসকে নয়, বাটলারকে অধিনায়ক দেখতে চান পিটারসেন

jos buttler and ben stokes
ছবি: এএফপি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে নাও খেলতে পারেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে। তার পরিবর্তে দলটিকে নেতৃত্ব দেওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখা হচ্ছে বেন স্টোকসকে।

তবে এ নিয়ে সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেনের ভাবনাটা ভিন্ন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, নতুন দায়িত্ব নিলে বাড়তি চাপে পড়ে যেতেন পারেন স্টোকস। তাই ২০১৯ সালে আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা এই অলরাউন্ডারকে নয়, উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান কেপি।

জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে-দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের মুখোমুখি হওয়ার সূচি এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তিন সপ্তাহে সাদা পোশাকের তিনটি ম্যাচ খেলবে দুদল। সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে আগামী ৮ জুলাই। ভেন্যু সাউথ্যাম্পটন।

জুলাই মাসের শুরুর দিকেই ভূমিষ্ঠ হতে পারে রুট দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাস সংকটের মাঝে স্ত্রীর পাশে থাকার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী রুট। অর্থাৎ প্রথম টেস্টে তার খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। 

গেল বছর ইংলিশ টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হন স্টোকস। কয়েক দিন আগে তার নেতৃত্বগুণের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থনের কথা জানিয়েছেন রুট। তবে পিটারসেন মনে করছেন, অধিনায়কত্ব সবার জন্য নয় এবং দুর্দান্ত ছন্দে থাকা স্টোকসকে তার নিজের মতো করে খেলতে দেওয়া উচিত।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম টকস্পোর্টসকে সোমবার তিনি বলেছেন, ‘বেন স্টোকস যে ধরনের (মানুষ) এবং বর্তমান সে যে ধরনের খেলোয়াড়, আমি কি এর কোনো পরিবর্তন দেখতে চাই? সম্ভবত না। আমি থাকলে জস বাটলার (অধিনায়ক হিসেবে) বেছে নিতাম।’

‘যারা বিনোদন দেয় এবং যারা দলের ভার বহন করে, তারা অনেক সময়ই সেরা অধিনায়ক হয় না এবং বাড়তি চাপের কারণে কখনও কখনও তাদের বেশ ভুগতে হয়।’

মূলত নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে স্টোকসকে দলনেতার ভূমিকায় দেখতে চাইছেন না পিটারসেন। স্বল্প মেয়াদে ইংল্যান্ডকে ওয়ানডেতে ও টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সাফল্যের সিঁড়ি খুঁজে পাওয়া হয়নি তার।

৩৯ বছর বয়সী সাবেক তারকা যোগ করেছেন, ‘আমাকে ভুগতে হয়েছে। আমি এটাকে পুরোপুরি ঘৃণা করেছি। (অধিনায়ক হিসেবে) আমি খুবই বাজে ছিলাম। আপনার নিজেকে পাল্টাতে হয় এবং আমি ড্রেসিংরুমের সবার সম্মান অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিলাম।’

Comments

The Daily Star  | English

Not going anywhere till the job is done: Adviser Wahiduddin Mahmud

When asked about the chief adviser's resignation the adviser said, 'He did not say he was leaving'

2h ago