মৃত্যু বাড়ছে জ্যামিতিক হারে

চট্টগ্রামে প্রথম ৪৮ দিনে ১০০, জুনের সাত দিনেই ৫৪ মৃত্যু

Corona BD.jpg
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

চট্টগ্রামে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এপ্রিল মাসে। এর পর সাত সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ও আক্রান্ত হয়ে এক শ জনের মৃত্যু হয়। জুনের প্রথম সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা ৫৪ জনে পৌঁছে গেছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আল-মানাহিল ফাউন্ডেশনের হিসাব এটি।

করোনায় আক্রান্ত বা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে কারো মৃত্যু হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের ব্যবস্থা করে আল-মানাহিল ফাউন্ডেশন। ১৫ এপ্রিলের পর থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।

আল-মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ফরিদ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এপ্রিলে কাজ শুরুর প্রথম সাত সপ্তাহে আমরা এক শ মরদেহ দাফন করি। আর জুনের প্রথম সপ্তাহেই আমরা ৫৫ জনের দাফন সম্পন্ন করেছি। ঈদের দিন থেকে করোনায় আক্রান্ত ও সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ঈদের দিন প্রথম আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক আট জনের মরদেহ দাফন করি।’

 

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে ফটিকছড়ি ও রাউজানে এবং নগরীর মধ্যে নিমতলা ও ইডিজেড এলাকায় মৃতের সংখ্যা বেশি।’

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যেহেতু উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে আমরা সেই হিসাব রাখি না, তাই আল-মানাহিলের সঙ্গে আমাদের হিসাবের তারতম্য থাকবে। আমাদের হিসাবে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে এক শ জন। শনাক্ত হয়েছে চার হাজার ১৬৭ জন। ঈদের দিন থেকে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে এটি ঠিক। এখন সংকটাপন্ন রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।’

Comments