যৌন হয়রানির অভিযোগে বাউফলে চিকিৎসক গ্রেপ্তার
পটুয়াখালীর বাউফলে ক্লিনিকে নারী কর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া চিকিৎসক মো. শাহ আলম (৬৫) এক সময় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। অবসর নিয়ে তিনি স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সংলগ্ন হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিকের এনেসথেটিস্ট হিসেবে কর্মরত।
ক্লিনিকের যে নারী কর্মীর অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার হয়েছেন তার অভিযোগ, প্রায়ই তিনি শাহ আলমের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। চাকরির ভয় দেখিয়ে তাকে চুপ করিয়ে রাখা হয়েছিল। ক্লিনিকের পরিচালকদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছিল না। উল্টো হয়রানির কথা গোপন রাখার জন্য হুমকি দেন উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এন এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
অতিষ্ট হয়ে ওই নারী কর্মী সোমবার রাতে ডা. শাহ আলম ও বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিকে পরিচালক আ. জলিল ও হুমকিদাতা ইউপি চেয়ারম্যান এন এম জাহাঙ্গির হোসেনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মামলা করেন।
রাতেই পটুয়াখালী সার্কেলের (বাউফল) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে ডা. শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তিনি দরজা না খোলায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সারারাত পুলিশ তার বাসা ঘেরাও করে রাখে। শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার চিকিৎসককে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিভিাগীয় অভিযোগ থাকায় অবসরের পরেও ওই চিকিৎসক পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারেননি।
Comments