এই টাকায় তাদের কর্মকর্তাদের বেতন হয়েছে, স্থাপনা পরিচালনার ব্যয় নির্বাহ হয়েছে কিংবা সরকারি-বেসরকারি ঋণ পরিশোধ হয়েছে। অথচ এই সময়কালে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেশিরভাগ শুধু বসেই ছিল।
গত ২ আগস্ট বিইআরসি ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য ঘোষণা করে ১ হাজার ১৪০ টাকা। তবে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ভোক্তারা জানান, তাদের কেউই আগস্টে ১ হাজার ৪০০ টাকার কমে সিলিন্ডার কিনতে পারেননি।
‘কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়কেই নিতে হবে।’
সরকার গত ১৪ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ৯০ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে, যা প্রতি বছরই ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
রাজধানীতে প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা এবং গ্রামাঞ্চলে ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে।
রাজধানীতে গড়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না, কোথাও কোথাও ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রামাঞ্চলের কিছু এলাকায় ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না।
১৩ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে গতকাল সন্ধ্যায় দেশে উৎপাদন ছিল ১১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত রিজেন্ট পাওয়ারের গ্যাসচালিত বারবকুণ্ড ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে এমন অভিনব ঘটনা ঘটেছে।
সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে সরকার নির্ধারিত দামে বোতলজাত তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রি করছে না খুচরা বিক্রেতারা।
কৃচ্ছ্রসাধনে ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। ফলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ডিজেলের দাম আবারও বাড়ছে।
গণশুনানি ছাড়াই জ্বালানির দাম সমন্বয়ের বিধান রেখে আইন সংশোধনের অনুমোদনের সিদ্ধান্তকে ‘ভোক্তাদের জন্য দুর্ভাগ্যের ব্যাপার’ ও ‘উদ্বেগের বিষয়’ বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম।
তীব্র গ্যাস সংকটে শিল্পখাত ও বাসাবাড়ির দুর্দশা শিগগির সমাধান হচ্ছে না। পরিবহণ খাতের একটি অংশ গ্যাসের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। সিএনজিচালিত যানবাহনে গ্যাস সরবরাহে ফিলিং স্টেশনগুলো হিমশিম খাওয়ায়...
শ্যামপুর, নন্দলালপুর, কাজলা ও মাতুয়াইলসহ রাজধানীর ২১ প্রান্তিক এলাকায় গতকাল প্রতি ১ ঘণ্টা পরপরই লোডশেডিং হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের প্রধান কারণ হিসেবে ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) নির্দেশনা না মানার কথা উল্লেখ করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার ঢাকার সব এলাকায় ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হয়েছে। এমনকি মধ্যরাতের পরেও লোডশেডিং হয়েছে। পূর্ববর্তী মাসগুলোতে তীব্র জ্বালানি সংকটের মাঝেও এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা যায়নি।
সামগ্রিকভাবে অব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণেই সারাদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম।
সেপ্টেম্বর নাগাদ লোডশেডিং কমিয়ে আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল সরকার। তবে, রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় এখনো নিয়মিত লোডশেডিং হচ্ছে।
চলমান সংকটে সরকার সাশ্রয় নীতি হিসেবে জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ নিলেও, তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরকার মৌখিকভাবে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের ঘোষণা দিলেও, তাদের পরিকল্পনায়...