পিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বিদ্যুৎ সরবরাহে ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
ব্যয়ের বেশিরভাগই ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে।
বাংলাদেশের এই দশকের শেষ নাগাদ এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তর করার সক্ষমতা চাহিদার তুলনায় বেড়ে যাবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাড়তি সক্ষমতার মতোই উদ্বৃত্ত এই সক্ষমতা গলার ফাঁস হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছে...
‘এটা অন্যায়, জনগণের সঙ্গে অবিচার।’
‘আমরা আমাদের গ্যাস সরবরাহের ৩০ শতাংশ আমদানি করি। এফএসআরইউ না থাকায় আমাদের গ্যাসের ১০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া আমাদের স্থানীয় গ্যাস উৎপাদনও কমে যাচ্ছে।’
‘বিদেশি কোম্পানি তো তাদের খরচ তোলার জন্য, বেশি মুনাফা অর্জনের জন্য দেশের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি করে গ্যাস উৎপাদন করবে। এটি আমাদের জন্য আর্থিক বোঝা ডেকে আনতে পারে।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত হিসেবে সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি ঘোষণা করে।
পিডিবি গ্রীষ্মকালীন ১৭,৮০০ মেগাওয়াট প্রাক্কলিত সর্বোচ্চ চাহিদার বিপরীতে দিনে ১৭,৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে
‘সাউথওয়েস্ট ট্রান্সমিশন গ্রিড সম্প্রসারণ প্রকল্প’ নামের এই প্রকল্পটি শেষ করার জন্য বাড়তি ১ হাজার ৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা চেয়েছে এবং বাস্তবায়নের সময় আরও দেড় বছর বাড়ানোর আবেদন করেছে।
‘এক কথায় এই চুক্তিটিতে কেবল আদানিই জিতেছে। এই চুক্তিটি এতটাই বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী যে আমি ভাবছি, কোনো সচেতন মানুষ কেন বাংলাদেশের পক্ষে এই চুক্তিটি সই করবেন।’
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ আগামী ২৫ বছরের জন্য আদানি পাওয়ারের করের বোঝা বহন করবে, যে বোঝা কোম্পানিটি ভারত সরকারের কাছ থেকে ইতোমধ্যে ছাড় পেয়েছে।
পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে প্রতিদিন প্রায় ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট।
ক্রমবর্ধমান দামের কারণে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দামে আদানি পাওয়ারের কাছে সাময়িক ছাড় চেয়েছে বাংলাদেশ। ভারতীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়েছে।
সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে সরকার নির্ধারিত দামে বোতলজাত তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রি করছে না খুচরা বিক্রেতারা।
কৃচ্ছ্রসাধনে ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। ফলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ডিজেলের দাম আবারও বাড়ছে।
গণশুনানি ছাড়াই জ্বালানির দাম সমন্বয়ের বিধান রেখে আইন সংশোধনের অনুমোদনের সিদ্ধান্তকে ‘ভোক্তাদের জন্য দুর্ভাগ্যের ব্যাপার’ ও ‘উদ্বেগের বিষয়’ বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম।
তীব্র গ্যাস সংকটে শিল্পখাত ও বাসাবাড়ির দুর্দশা শিগগির সমাধান হচ্ছে না। পরিবহণ খাতের একটি অংশ গ্যাসের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। সিএনজিচালিত যানবাহনে গ্যাস সরবরাহে ফিলিং স্টেশনগুলো হিমশিম খাওয়ায়...
শ্যামপুর, নন্দলালপুর, কাজলা ও মাতুয়াইলসহ রাজধানীর ২১ প্রান্তিক এলাকায় গতকাল প্রতি ১ ঘণ্টা পরপরই লোডশেডিং হয়েছে।