‘পরীক্ষামূলক’ লকডাউন শেষে নারায়ণগঞ্জের রেড জোনে যান চলাচল শুরু

নারায়ণগঞ্জে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা রেড জোন হিসেবে লকডাউন ঘোষণা করে বন্ধ করে দেওয়া তিনটি এলাকার রাস্তার মুখগুলো যানবাহন ও মানুষের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা রেড জোন হিসেবে লকডাউন ঘোষণা করে বন্ধ করে দেওয়া তিনটি এলাকার রাস্তার মুখগুলো যানবাহন ও মানুষের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন সংবাদ সম্মেলন করে লকডাউন ঘোষণা করে বাঁশ দিয়ে রাস্তাগুলো আটকে দিলেও লকডাউন তুলে নেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা দেয়নি। পুলিশের দাবি, লকডাউন নয় বরং পরীক্ষামূলক কার্যক্রম হিসেবে চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল যা আজ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে সরেজমিনে শহরের আমলাপাড়া ও জামতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যানবাহন ও মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ রাস্তা খুলে দেওয়ায় সেখানকার বাসিন্দারাও কিছু জানাতে পারছেন না।

গত রোববার জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন প্রেস ব্রিফিং করে শহরের আমলাপাড়া, জামতলা ও ফতুল্লার রূপায়ন টাউনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। এরপর তিনটি এলাকায় রীতিমতো মাইকিং করে লকডাউনের কথা বলে এলাকার প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম দ্য ডেইল স্টারকে বলেন, ‘সম্ভবত পুলিশ রাস্তার বাঁশ খুলে দিয়েছে। কারণ তারাই সেখানে আইনশৃঙ্খলায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমরা রাস্তা খুলে দেইনি। জানতে পারলাম লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের কিছু জানায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের নির্দেশনায় তখন আমরা লকডাউনে সহযোগিতা করেছিলাম। যেহেতু লকডাউন অপরিকল্পিত ছিল সেজন্য বাসিন্দারা ফোনে আমাদের চাপ দিচ্ছিল। তাই লকডাউন উঠে যাওয়ায় জেলা প্রশাসনের কাছে কোনো কারণ জানতে চাইনি।’

এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববির মোবাইলে একাধিকবার ফোন ও গণমাধ্যমের পরিচয়ে এসএমএস পাঠিয়েও যোগাযোগ করা যায়নি। এসএমএসে পাঠানো প্রশ্নেরও উত্তর দেননি।

নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ ইমতিয়াজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘লকডাউন প্রত্যাহার বিষয়ে আমি কোনো কিছুই জানি না।’

পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘লকডাউন খুলে দেওয়া নয়, আমরা তিনটি এলাকা পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছিলাম কি ধরনের সমস্যা হয়। পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আমরা এখন নির্দিষ্ট জায়গায় যেখানে হটস্পট সেগুলো লকডাউন করব। সেটা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে চেয়েছিলাম মানুষের কী ধরনের সমস্যা হয়, কীভাবে সমাধান করা যায়। সেগুলো আমরা পেয়েছি। মানুষ কেন বাড়ি থেকে বের হয় বা কী কী সমস্যা হয়, সেগুলো সমাধানের উপায় নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক হলে যেখানে রেড জোন ঘোষণা হবে সেখানে এসব সুযোগ সুবিধা রেখে লকডাউন করা হবে।’

লকডাউন ঘোষণার তিন দিন পর খুলে দেওয়ায় মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে না? উত্তরে তিনি বলেন, ‘তেমন কিছু হবে না। জনপ্রতিনিধিরা সেটা তাদের বুঝিয়ে বলবেন যে ১৫ কিংবা ২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হয়নি। এটা পরীক্ষামূলক ছিল।’

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago