যশোরে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ৫৪ দিনে ২৮ রোগী পালিয়েছে

Joshore_DS_Map
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে একের পর এক রোগী পালিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, গত ৫৪ দিনে ওয়ার্ড থেকে ২৮ জন রোগী পালিয়ে গেছে।

সরকারি এই হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় গত ২৩ মার্চ আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়। ১০ জুন পর্যন্ত আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৪৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ছয় জন। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি যশোর শহরের নীলগঞ্জ এলাকায়, দুই জনের বাড়ি ঝিকরগাছা উপজেলার বর্ণি গ্রামে, একজনের বাড়ি গদখালী এলাকায়, একজনের বাড়ি চৌগাছা উপজেলার জামিরা গ্রামে ও শার্শা উপজেলার শিয়ালকোনা গ্রামে একজনের বাড়ি। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।

সূত্র আরও জানায়, গত ১৩ এপ্রিল থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ৫৪ দিনে মোট ২৮ রোগী আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে গেছে। শহরের মিশনপাড়া, খড়কি এলাকা, উপশহর, নীলগঞ্জ, পুলিশ লাইন্স, পুরাতন কসবা এলাকায় একজন করে ও বেজপাড়ায় দুই জনের বাড়ি। এ ছাড়া, সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রাম, পদ্মবিলা, পূর্ব পান্থাপাড়া, খাজুরা এলাকা, ঝুমঝুমপুর, এনায়েতপুর, বসুন্দিয়া, মাহিদিয়া, বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা গ্রাম, মহিরন গ্রাম, ইন্দ্রা, চৌগাছা উপজেলার লস্কারপুর গ্রাম, ঝিকরগাছা উপজেলার কাটাখাল গ্রাম, শার্শা, বেনাপোলের কাগমারি গ্রাম, মণিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রাম, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ও নড়াইল সদর উপজেলার দত্তপাড়ার একজন করে রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মচারী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জ্বর-সর্দি হলেই রোগীকে ভর্তি করে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দুএকদিন পরে সুস্থ অনুভব করলে রোগীরা নিজেদের ইচ্ছায় বাড়ি চলে যান। কারণ নমুনা পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় না।’

মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে রোগী নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ছিলেন আসাদুল ইসলাম। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের খুঁজেই পাওয়া যায় না। সে সময় আইসোলেশন ওয়ার্ডে বিনা চিকিৎসায় দুই জন রোগী মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠে। এর মধ্যে রেজাউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি স্বজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।’

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আরিফ আহমেদ বলেন, ‘করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার পর থেকে রোগীদের মনে এক ধরনের ভয় কাজ করে। সেই কারণে অনেকে ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে গেছেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রোগীদের সব অভিযোগ সঠিক নয়। রোস্টার অনুযায়ী চিকিৎসকরা আইসোলেশন ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিদিন ওয়ার্ড পরিষ্কার করার জন্য নির্দিষ্ট কর্মী আছে। রোগীদের জন্য খাবারের পরিমাণ বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

7h ago