কোহলিকে আউট করা মানে পুরো ভারতীয় দলকে আউট করা: সাকলাইন
![kohli kohli](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/kohli_6.jpg?itok=ksEVgwkd×tamp=1592046086)
বিরাট কোহলিকে ১১ জন ক্রিকেটারের সমতুল্য মনে করেন পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি সাকলাইন মুশতাক! তার মতে, হালের এক নম্বর ব্যাটসম্যানকে আউট করা মানে গোটা ভারতীয় দলকেই আউট করা।
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অফ স্পিনার সাকলাইন খেলা ছাড়ার পর বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন কোচ হিসেবে। সবশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। দলটির স্পিন উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকাকালীন দারুণ সাফল্য উপভোগ করার সুযোগ হয় তার।
সাকলায়েনের অধীনে ইংল্যান্ডের দুই স্পিনার আদিল রশিদ ও মঈন আলি ছয়বার করে আউট করেছিলেন কোহলিকে। এই সফলতার রহস্য কী? সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে এক সাক্ষাৎকারে ৪৩ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, ‘একা’ কোহলিকে ‘গোটা’ ভারতীয় দল হিসেবে বিবেচনা করার পরামর্শ তিনি দিয়েছিলেন দুই শিষ্যকে।
‘সে (কোহলি) এক জন নয়, ১১ জন। আমি তাদেরকে (মইন ও রশিদ) সবসময় বলতাম যে, বিরাটকে আউট করা মানে পুরো ভারতীয় দলকে আউট করা। সে একের ভেতর ১১। তাকে সেভাবেই দেখতে হবে।’
![moeen and adil and saqlain moeen and adil and saqlain](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/news/images/000_1hs9vu.jpg?itok=Zp1mdAtx×tamp=1592045861)
‘বোলার হিসেবে নিজেদের ভাবনা স্পষ্ট রাখতে হবে। হ্যাঁ, সে এক জন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান যে নিজের খেলায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে এবং কোনো ধরনের স্পিনেই তার কোনো দুর্বলতা নেই, সেটা হোক বাঁহাতি স্পিন, অফ স্পিন কিংবা লেগ স্পিন। কিন্তু আমি তাদেরকে বলতাম, তোমাদের চেয়ে ওর উপর চাপ বেশি। কারণ, গোটা বিশ্ব ওকে দেখছে। তাই নিজ নিজ ভাবনায় তোমাদের পরিষ্কার থাকতে হবে।’
২০১৮ সালে হেডিংলিতে দারুণ একটি ডেলিভারিতে কোহলিকে সাজঘরে পাঠিয়েছিলেন লেগ স্পিনার রশিদ। লেগ স্টাম্পের বাইরের দিকে পিচ করা সেই ডেলিভারিটি তীক্ষ্ণ টার্ন নিয়ে আঘাত করেছিল অফ স্টাম্পের মাথায়। সাকলাইন সেটার নাম দিয়েছেন ‘বিরাট-ওয়ালা ডেলিভারি’। তিনি বলেছেন, বলের সঙ্গে আত্মা জুড়ে দিলে সেরা ব্যাটসম্যানকেও ওভাবে স্তম্ভিত করে দেওয়া যায়।
‘ওই ডেলিভারিটি ছিল প্রায় ওয়াইড। অনেকখানি বাঁক খেয়েছিল এবং বেল ফেলে দিয়েছিল। আমি তাকে ওই বিরাট-ওয়ালা ডেলিভারি বারবার নেটে অনুশীলন করতে বলতাম। ব্যাপারটি হলো, বলের সঙ্গে নিজের আত্মা জুড়ে দেওয়া। হ্যাঁ, সে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। কিন্তু তুমি বলের সঙ্গে পরিকল্পনা, কল্পনাশক্তি, অনুভূতি ও আবেগ যুক্ত করো, তুমিও কম না।’
‘এক নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে তার অহম থাকবেই। তুমি যদি একটি ডট বল করতে পারো, তার অহমে চোট লাগবে। তুমি যদি তাকে ফাঁদে ফেলতে পারো ও আউট করতে পারো, তবে সে হতাশ হবে। এটা মনস্তাত্ত্বিক খেলা, নিজের মান উঁচুতে রাখতে হবে।’
Comments