পটুয়াখালীতে করোনায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও উপসর্গ নিয়ে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু

পটুয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সদর উপজেলার মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলার স্কুল শিক্ষকসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা হলো ১১।
Corona Dead Body
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পটুয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সদর উপজেলার মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলার স্কুল শিক্ষকসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা হলো ১১।

গতকাল রাত ১০ টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মাদ্রসা অধ্যক্ষের মৃত্যু হয়।

আজ রোববার সদর উপজেলার টেংরাখালী এলাকার ওয়ায়েজেবাদ ফাজিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি শাহ মো. নেয়ামুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘গত ৮ জুন করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ১১ জুন তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং রাতে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল রাতে তার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এসেছে।’

বাউফলে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সকাল ১০টার দিকে বালিয়া চাঁদপালে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আক্তারুজ্জামান জানান, ওই শিক্ষিকা কিছু দিন ধরে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিলেন। আজ ভোরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং ১০টার দিকে মৃত্যু হয়।

এদিকে, পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, পটুয়াখালীতে আজ ২ জন চিকিৎসকসহ নতুন করে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত  হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা আক্রান্ত হলো ১৮১।

আক্রান্ত চিকিৎসকদের এক জন পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এবং অপরজন জেলার বাউফল উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাংগীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলা ও পৌরসভার ১০ জন, দুমকি উপজেলার এক জন এবং বাউফল উপজেলার ৪ জন আছেন। আজ দুপুর পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮১ ও মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৪ জন।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago