এমবাপেকে পিএসজি ছাড়ার পরামর্শ মদ্রিচের

ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার মনে করেন, ফুটবল অঙ্গনে কর্তৃত্ব করতে হলে বর্তমান ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছাড়তে হবে এমবাপেকে।
Mbappe
ফাইল ছবি

লিওনেল মেসি-ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো পরবর্তী যুগে বিশ্ব ফুটবলকে শাসন করবেন কে? উত্তরে বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি বর্তমান ও সাবেক অনেক তারকা ফুটবলার বলে থাকেন কিলিয়ান এমবাপের নাম।

রিয়াল মাদ্রিদের লুকা মদ্রিচও সম্ভাবনার বীজ দেখতে পান এই তরুণ ফরাসি স্ট্রাইকারের মধ্যে। তবে এই ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার মনে করেন, ফুটবল অঙ্গনে কর্তৃত্ব করতে হলে বর্তমান ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছাড়তে হবে এমবাপেকে।

এমবাপের প্রতি রিয়ালের আগ্রহের কথা এখন আর গোপন নেই। দলটির কোচ জিনেদিন জিদানকে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারের ‘রোল মডেল’ও মানেন তিনি। তাই অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন রয়েছে, তার নতুন ঠিকানা হতে পারে স্পেনের সফলতম ক্লাবটি। তবে পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দো জানিয়েছেন, ফরাসি তারকাকে ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের।

ব্যালন ডি’অর জয়ী মদ্রিচ অবশ্য মনে করেন, সেরাদের সেরা হতে হলে এমবাপেকে আরও উঁচু পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে এবং সেই লক্ষ্য পূরণ করার স্বার্থে পিএসজি ছাড়তে হবে তাকে। কারণ, ফরাসি লিগে খুব বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার দেখা মেলে না।

ইতালিয়ান গণমাধ্যম লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্তের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব ফুটবলে কর্তৃত্ব করার মতো সবকিছু তার মধ্যে রয়েছে। তবে আমি মনে করি, মানের দিক থেকে আরও উঁচুতে উঠতে হলে তাকে এমন একটি চ্যাম্পিয়নশিপে (লিগে) যেতে হবে, যেখানে তার দল সহজেই জিততে পারবে না।’

বয়স মাত্র ২১ বছর হলেও এমবাপের অর্জনের ঝুলি সমৃদ্ধ। জাতীয় দল ফ্রান্সের হয়ে তিনি জিতেছেন ২০১৮ বিশ্বকাপের শিরোপা। ওই আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারটি গোল করে তিনি পেয়েছিলেন সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

ফরাসি ক্লাব পিএসজির হয়েও এমবাপের পারফরম্যান্স নজরকাড়া। ২০১৭ সালে ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর মুড়ি-মুড়কির মতো গোল করে যাচ্ছেন তিনি। সবশেষ দুই মৌসুমেই ফরাসি লিগ ওয়ানের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। তা ছাড়া, তিনটি লিগ শিরোপাসহ প্যারিসের জার্সিতে মোট ছয়টি শিরোপা জিতেছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrant workers in gulf countries

Can we break the cycle of migrant exploitation?

There has been a silent consensus on turning a blind eye to rights abuses of our migrant workers.

7h ago