করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মাশরাফির শাশুড়ি
বিশ্বব্যাপি মহামারি করোনাভাইরাসের বিপক্ষে শুরু থেকেই লড়াই করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে নানা সাহায্য সহযোগিতা করছেন নিম্নবিত্ত অসহায় মানুষদের। তবে এবার নিজের পরিবারের সদস্যও আক্রান্ত হলেন এ ভাইরাসে। তার শাশুড়ি হোসনে আরা ও তার স্ত্রী সুমনা হক সুমির বোন রিপা ও ভাগ্নি আগামী কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন।
মূলত আগের দিন স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা চলাকালে মাশরাফি জানান তার কিছু আত্মীয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানেই তিনি আগামীর কথা উল্লেখ করেন। সেখান থেকেই বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে জানা যায় প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হয় আগামী। এরপর মাশরাফির শাশুড়িও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার মাশরাফির শাশুড়ির করোনা টেস্ট করানো হয়। রোববার রাতে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। আক্রান্ত হলেও তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো থাকায় হাসাপাতালে না নিয়ে নড়াইলের লোহাগড়ার বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাশরাফির খালু ও নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি তরিকুল ইসলাম অনিক বলেন, 'হ্যাঁ, মাশরাফির শাশুড়ি ও সুমির ভাগ্নি আগামী করোনাভাইরাসে কারান্ত হয়েছে। ওদের অবস্থা ভালোই আছে। যে কারণে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। বাড়িতেই আইসোলেশনে আছে।'
এ প্রসঙ্গে নড়াইলের সিভিল সাজর্ন আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা অনুমোদিত ব্যক্তির কাছ থেকে ফোনে জানতে পেরেছি মাশরাফির শাশুড়ির করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে ব্যাপারে আমরা লিখিত কিংবা কোনো ই-মেইল এখনও পাইনি।'
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন মাশরাফি। নিজ অর্থায়নে কয়েক হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। নড়াইল সদর হাসপাতালে জীবাণুনাশক কক্ষ স্থাপন করেছেন। এছাড়া চিকিৎসকদের সুরক্ষায় 'ডক্টরস সেফটি চেম্বার' বানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের জন্য ৫০০ পিপিইও (পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুয়েপমেন্ট) দিয়েছেন মাশরাফি। এ ছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে তার নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম।
Comments