অবহেলায় রোগী মারা গেলে ফৌজদারি অপরাধ: হাইকোর্ট

করোনাভাইরাসে কিংবা অন্য যেকোনো রোগে আক্রান্ত রোগীকে কোনো হাসপাতাল চিকিত্সা থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না বলে আদেশে বলেছেন হাইকোর্ট। কারও অবহেলায় কোনো রোগী মারা গেলে বা কোনো হাসপাতাল যদি কোনো রোগীকে চিকিত্সা না দেয়, তবে তা ফৌজদারি অপরাধ হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।
supreme-court_0_1.jpg
সুপ্রিম কোর্ট ভবন। স্টার ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসে কিংবা অন্য যেকোনো রোগে আক্রান্ত রোগীকে কোনো হাসপাতাল চিকিত্সা থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না বলে আদেশে বলেছেন হাইকোর্ট। কারও অবহেলায় কোনো রোগী মারা গেলে বা কোনো হাসপাতাল যদি কোনো রোগীকে চিকিত্সা না দেয়, তবে তা ফৌজদারি অপরাধ হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।

যারা হাসপাতালে রোগীদের চিকিত্সা দিতে অবহেলা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্ট আজ সোমবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনটি পৃথক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ দেন। নির্দেশনায় সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল যেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা আক্রান্ত নন এমন কোনো রোগীর চিকিত্সা দিতে অস্বীকার না করে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

হাইকোর্ট দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিত্সা নিশ্চিত করতে গত ১১ ও ২৪ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) দেওয়া নির্দেশাবলী কঠোরভাবে কার্যকর করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হাসপাতালের কতগুলো বেড খালি আছে, কখন কত বেড খালি হচ্ছে, সে বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য সচিব ও ডিজিএইচএসের মহাপরিচালককে আদালত ১৫ দিনের মধ্যে এ সব নির্দেশনা অনুযায়ী একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন।

সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী - এএম জামিউল হক, মো. নাজমুল হুদা, মো. মেহেদী হাসান ও একেএম এহসানুর রহমানের যৌথভাবে হাইকোর্টে জনস্বার্থে এ বিষয়ে রিট করেছিলেন। রিটে আবেদনকারীরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশনা চেয়েছিলেন যেন রোগীরা হাসপাতালে সেবা পান। আবেদনে তারা হাইকোর্টকে ১১ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) দেওয়া নির্দেশনা কার্যকর করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য বলেন।

তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে আদালতকে বলেন, কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট ছাড়া রোগীদেরকে চিকিত্সা করতে অস্বীকার করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

19m ago