বরিশালে ১০ কোটি টাকার নকল ওষুধ জব্দ, ২ জনের জেল-জরিমানা
বরিশালে নকল ওষুধ তৈরির দায়ে দুই জনকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যামাণ আদালত। নকল ওষুধের কারখানা সিলগালা করে জব্দ করা ওষুধ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
বরিশালের ড্রাগ সুপার জানান, জব্দ করা ওষুধের দাম প্রায় ১০ কোটি টাকা।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত আজ সোমবার বিকেলে নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের ‘ডাক্তার বাড়ি’ হিসেবে পরিচিত একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নকল ওষুধের কারখানার সন্ধান পান। ওষুধ ছাড়াও সেখানে স্যানিটাইজার, প্রসাধনী সামগ্রী, ওষুধ তৈরির যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল পাওয়া যায়।
জিয়াউর রহমান জানান, দুই বছর ধরে এখানে অন্তত ১০ ধরনের নকল ওষুধ তৈরির কথা স্বীকার করেছেন মাসুম বিল্লাহ ও তার সহযোগী নুরুল আলম। কারখানাটি সিল-গালা করে সব ওষুধ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বাড়ির মালিক সাদেক আহম্মেদকে উপস্থিত হতে বলা হলেও অসুস্থতার অজুহাতে তিনি আসেনি। বাড়ির মালিকের সহযোগিতা ছাড়া এরকম কারখানা চালানো সম্ভব নয়। আমরা তাকে খুঁজছি।
অভিযানে থাকা সুপারিনটেন্ডেন্ট অব ড্রাগ অদিতি স্বর্ণা বলেন, ‘সকালে আমরা নকল প্রসাধনীসহ দুই জনকে লঞ্চঘাট থেকে আটক করি। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নকল ওষুধের ফ্যাক্টরি জব্দ করি। এখানে শুধু ওষুধ নয়, স্যানিটারি সামগ্রী, নারকেল তেলসহ বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।’
ড্রাগ সুপার জানান, যন্ত্রাপাতি বাদে শুধু ওষুধেরই দাম হবে ১০ কোটি টাকা। নকল ওষুধ ঢাকার মিডফোর্ড ওষুধ মার্কেটেসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হতো বলে দণ্ডপ্রাপ্তরা স্বীকার করেছেন।
Comments