নারায়ণগঞ্জ লকডাউন হলে সহায়তা করবে সিটি করপোরেশন: মেয়র আইভী

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ শহর ও তিন উপজেলা লাল জোন হিসেবে ঘোষণা করা হলেও প্রথম থেকেই কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন দাবি করে আসছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলছেন, এখনোও লকডাউনের সিদ্ধান্ত হলে সিটি করপোরেশন তা বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতা করবে।
সোমবার বিকেলে মোবাইলে দ্য ডেইলি স্টারকে এসব কথা বলেন মেয়র।
আইভী বলেন, ‘লকডাউনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন সিভিল সার্জন। উনি যেখানে ভালো মনে করবেন সেখানে লকডাউন দিবেন। আমাদের যত ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট আছে, আমরা সেই সব দিয়ে তাদের সহযোগিতা করতে সব সময় প্রস্তুত আছি। তবে রেড জোনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
আপনি শুরুতেই লকডাউন চেয়ে ছিলেন? জবাবে মেয়র আইভী বলেন, ‘আমি প্রথম থেকেই লকডাউন চেয়ে আসছিলাম। তখন দিলে হয়তো আরও একটু ভালো হতো। এখন ঢাকায় যারা বিশেষজ্ঞ আছেন তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে যেভাবে করতে চাইছে আমরা সেই জায়গাগুলোতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। যেহেতু পুরো বিষয়টি দেখাশোনা করেন নারায়ণগঞ্জ ডিসি এবং সিভিল সার্জন, সেহেতু তারা যাই সিদ্ধান্ত নিবেন আমরা সহযোগিতা করব।’
এর আগে করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির শনিবারের সভায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সদর উপজেলা এবং পুরো নগর এলাকাকে লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
প্রসঙ্গত গত ২৫ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরই নারায়ণগঞ্জকে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে আখ্যায়িত করে লকডাউন ঘোষণা দেয়া হয়। পরবর্তীতে গত ৭ জুন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা রেড জোন হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভূঁইঘর রূপায়ন সিটি, শহরের জামতলার একটি রাস্তা ও আমলাপাড়া এলাকা লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে জানানো হয় এই লকডাউন পরীক্ষামূলক ছিল। তিন দিন পর ১০ জুন সকালে লকডাউন তুলে নেয় প্রশাসন। পরদিনই আবার ২১ দিনের জন্য রূপগঞ্জের সদর ইউনিয়নকে লাল জোন হিসেবে লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। যা এখনও পর্যন্ত কার্যকর আছে।
নারায়ণগঞ্জে আজ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৩৮৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৪ হাজার ১২৭ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯৬ জন মারা গেছে ও ১ হাজার ৭৯৭ জন সুস্থ হয়েছেন।
Comments