ভারতে করোনা পরীক্ষায় অ্যান্টিজেন কিটের অনুমোদন
স্বল্প সময়ের মধ্যে এবং ল্যাবরেটরি ছাড়াই করোনা পরীক্ষার জন্য অ্যান্টিজেন কিটের অনুমোদন দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)।
আজ মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে অ্যান্টিজেন কিট তৈরি করেছে বেসরকারি বায়োটেকনোলজি প্রতিষ্ঠান এসডি বায়োসেন্সর।
বিশ্বব্যাপী আদর্শ মানসম্পন্ন পরীক্ষা পদ্ধতি হিসেবে ধরা হয় আরটি-পিসিআর পদ্ধতিকে। এর পাশাপাশি অ্যান্টিজেন পদ্ধতি ব্যবহার সম্পর্কে আইসিএমআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘তুলনামূলকভাবে কম সংবেদনশীল ও অধিক পরিমাণে সঠিক ফলাফল দিতে সক্ষম হওয়ায় আইসিএমআর কোভিড-১৯ পরীক্ষায় অ্যান্টিজেন কিট ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে।’
আইসিএমআর আরও জানিয়েছে, এই পরীক্ষায় কারো করোনা পজিটিভ পাওয়া গেলে পুনরায় পরীক্ষা করার প্রয়োজন হবে না। তবে, যদি কারও নেগেটিভ আসে, তবে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে পুনরায় পরীক্ষার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করতে হবে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফডিএ) অ্যান্টিজেন কিটের অনুমোদন দেয়।
অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষায় সব ইনফেকশন ধরা না পড়ার সম্ভাবনা থাকে এবং পিসিআর পরীক্ষার মতো এত বেশি সংবেদনশীল নয়। সেই কারণে এই কিটে দেখানো পজিটিভ ফলাফল অনেক বেশি সঠিক থাকলেও ফলস নেগেটিভ দেখানোর সম্ভাবনা থাকে। তাই এফডিএ’র মতো আইসিএমআরও এই কিট দিয়ে পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ আসলে নিশ্চিত হতে তা পিসিআর পদ্ধতিতে পুনরায় পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে।
তাদের পরামর্শে বলা হয়েছে, ‘অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় কারো ফলাফল নেগেটিভ আসলে অবশ্যই আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে তার নমুনা আবার পরীক্ষা করতে হবে। কিন্তু, পরীক্ষায় কারো ফলাফল পজিটিভ আসলে তা পজিটিভ হিসেবেই ধরতে হবে এবং তা আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে পুনরায় পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই।’
এই পদ্ধতিতে উপসর্গ দেখা যাওয়া রোগীদের পাশাপাশি উপসর্গহীন রোগীদেরও পরীক্ষা করা যাবে। এতে করে হাসপাতালে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভর্তি হতে আসা রোগীদের সহজে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব বলে জানিয়েছে আইসিএমআর।
ভারতে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যেসব প্রতিষ্ঠানের অ্যান্টিজেন কিট তৈরির সক্ষমতা আছে, তাদের এটি তৈরি করে অনুমোদন নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইসিএমআর। বর্তমানে ভারতে প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ নমুনা আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়।
Comments