ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহীর পদত্যাগ

সিএ’র চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস নিশ্চিত করেছেন রবার্টসের চাকরি ছাড়ার বিষয়টি।
kevin roberts
ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের ফলে তৈরি হওয়া সংকট সঠিকভাবে সামাল দিতে পারেননি কেভিন রবার্টস। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে তাই দূরত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছিল দেশটির ক্রিকেটারদের ও রাজ্য দলগুলোর। বোর্ডের ভেতর থেকেও নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার আওয়াজ তোলা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব থেকে রবার্টস পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি।

মঙ্গলবার সিএ’র চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস নিশ্চিত করেছেন রবার্টসের চাকরি ছাড়ার বিষয়টি। তার জায়গায় নিক হকলিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহীর পদে আগে থেকেই আছেন তিনি।

২০১৮ সালের শেষদিকে তিন বছরের জন্য অজি বোর্ডের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন রবার্টস। কিন্তু মেয়াদের ১৮ মাস বাকি থাকতে কেন তিনি পদত্যাগ করেছেন তা নিয়ে মুখ খোলেননি এডিংস। বোর্ডের সঙ্গে গেল কিছুদিন ধরে রবার্টসের টানাপড়েন চলার কথা অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সিএ চেয়ারম্যান বলেছেন, পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে এসেছে এই সিদ্ধান্ত, ‘কেভিন অনুভব করছিলেন আর বোর্ডও এতে সম্মত হয়েছে যে, কোভিড-১৯ এর ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে সংস্থাটিকে ঢেলে সাজানোর জন্য  ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াতে নতুন নেতৃত্ব আনার এটাই উপযুক্ত সময়।’

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোর মতো সিএকেও পড়তে হয়েছে আর্থিক ক্ষতির মুখে। তাই ঘাটতি পোষাতে বোর্ড কর্মকর্তাদের বেতন কেটে নেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেন রবার্টস। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার বক্তব্য একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অঙ্গনে ভীতি ছড়িয়েছে ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে অজি বোর্ডকে যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বলে কয়েক দিন আগে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, সেই অঙ্কের সত্যতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।

অযথা অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বোর্ডের আস্থা ও আত্মবিশ্বাস হারিয়েছেন রবার্টস বলে মনে করছেন ইয়ান হিলি। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘তিনি আতঙ্কের জন্ম দিয়েছেন। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়াই বৈশ্বিক মহামারিটি নিয়ে তিনি আগেভাগেই আতঙ্কের জন্ম দিয়েছেন। রাজ্যগুলোর ও খেলোয়াড়দের কাছে পুরো পরিস্থিতি তিনি স্বচ্ছভাবে ব্যাখ্যাও করতে পারেননি।’

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ছাড়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। রাগবি অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তা রায়েলেন ক্যাসেল ও জাতীয় রাগবি লিগের প্রধান টড গ্রিনবার্গকেও সম্প্রতি বিদায় নিতে হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

20m ago