‘অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না, আমার এখন হাসপাতালে থাকার যুক্তি নেই’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

করোনামুক্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের নিউমোনিয়ার পরিমাণ বেড়েছে। অবস্থা বিবেচনায় তাকে নতুন করে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, তার অবস্থা এখনো সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত নয়।

আজ মঙ্গলবার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফির বরাত দিয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের নিউমোনিয়ার চিকিৎসা চলছে। এ ছাড়াও, তিনি কিডনি রোগী ও তার উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। করোনামুক্ত হলেও তার ফুসফুস তো এখনো নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এমনিতেই কিডনি রোগীদের ফুসফুসে কিছু জটিলতা থাকে। এখন তার সম্পূর্ণ সুস্থতার জন্য ফুসফুসের নিউমোনিয়া পুরোপুরি ভালো হওয়া দরকার। এসব কারণে আরও বেশ কয়েকদিন তার হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়া দরকার।’

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে হাসপাতালের এক চিকিৎসাকর্মীকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি সংকট কাটিয়ে উঠেছি, এখন সুস্থ আছি। আমার এখন আর হাসপাতালে থাকার দরকার নেই। অনেক অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছে না, চিকিৎসা পাচ্ছে না। সেই বিবেচনায় আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকার পক্ষে কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।’

ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এখন স্বাভাবিকভাবেই হাঁটাচলা করছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ খাচ্ছেন। গলার ইনফেকশন এখনো থাকায় কথা বলা বন্ধ রয়েছে। এখনো চিরকুটের মাধ্যমে লিখে হাসপাতাল পরিচালনার ব্যাপারসহ প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দিচ্ছেন। পাশাপাশি গণস্বাস্থ্যের কিট এখনো অনুমোদন না পাওয়ার বিষয়টি নিয়েও সারাক্ষণ তিনি অস্থির ও ক্ষুব্ধ থাকছেন। এটাও তার শরীরে প্রভাব ফেলছে।’

‘যদিও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আরও বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন, তবে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় চলে যাওয়া জন্য তাড়াহুড়ো করছেন’, যোগ করেন ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষাতেই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

এরপর, গত ১২ জুন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। পরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলেও তার কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে।

আরও পড়ুন:

পিসিআর পরীক্ষাতেও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা নেগেটিভ

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনামুক্ত

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুস-গলার সংক্রমণ ‘উন্নতির দিকে’

‘উন্নতি হচ্ছে, তবে এখনো ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে না’

বিকালের এক্সরে রিপোর্টে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের আরও একটু উন্নতি

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের নিউমোনিয়ার ‘উন্নতি হচ্ছে’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি, ফুসফুসের সংক্রমণ কমেছে

‘অবনতি হয়নি অর্থে উন্নতি হয়েছে’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার ‘কিছুটা উন্নতি’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আবারও প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার ‘একটু অবনতি’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন দিতে হচ্ছে

‘আমি সুস্থ হয়ে উঠবো, সুস্থ হয়ে উঠতেই হবে’

‘আমি ভালো আছি’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা পজিটিভ

বিএসএমএমইউর পরীক্ষাতেও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা পজিটিভ

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পর শিরীন হক ও বারিশ চৌধুরীও করোনায় আক্রান্ত

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এবারের উদ্যোগ ‘প্লাজমা ব্যাংক’

আমাদেরই সবার আগে এই কিট বিশ্ববাসীর সামনে আনার সুযোগ ছিল: ড. বিজন

২৫ দিনে ৩০১ শয্যার করোনা হাসপাতালের জন্ম অথবা অপমৃত্যু!

মুক্তিযুদ্ধ, গণস্বাস্থ্য, ডা. জাফরুল্লাহ ও মাছ চোর

Comments

The Daily Star  | English

BNP struggles to rein in the rogues

Over the past 11 months, 349 incidents of political violence took place across the country, BNP and its affiliated organisations were linked to 323 of these

9h ago