করোনাভাইরাস

আজ মারা গেলেন আরও ৩ জন ডাক্তার

Doctors.jpg
ডা. মো. আশরাফুজ্জামান, ডা. শাহ আব্দুল আহাদ এবং ডা. নুরুল হক। ছবি: এফডিএসআর

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ বুধবার ঢাকা, দিনাজপুর ও চট্টগ্রামে আরও তিন জন চিকিৎসক মারা গেছেন। 

তাদের একজন ডা. মো. আশরাফুজ্জামান আজ সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

হাসপাতালের সুপার ডা. মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ডা. মো. আশরাফুজ্জামান গতরাত ১টার দিকে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তিনি মারা যান।’

ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটির (এফডিএসআর) যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ডা. মো. আশরাফুজ্জামান ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। এ ছাড়াও, তিনি রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক এবং হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ছিলেন।’

ডা. মো. আশরাফুজ্জামান চার বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন বলেও জানান তিনি।

দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেলে কলেজের সাবেক পরিচালক ডা. শাহ আব্দুল আহাদ (৭০) আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান।

দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ডা. শাহ আব্দুল আহাদ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি ছিলেন। গত ৮ জুন তার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি এম আব্দুর রহিম মেডিকেলে কলেজের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।’

সিভিল সার্জন আরও বলেন, ‘ডা. শাহ আব্দুল আহাদের ডায়ারেটিস ও হার্টের সমস্যা ছিল। গতকাল রাতেও তিনি ভালো ছিলেন। তবে আজ ভোর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

এর আগে, আজ ভোররাত ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই হাসপাতালের সিনিয়র আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক মারা যান।

হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. আব্দুর রব দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত ডা. নুরুল হক গত তিনদিন ধরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়েছিল। গতকাল শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।’

ডা. নুরুল হক গত ১৯ বছর ধরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এফডিএসআর’র যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ডা. নুরুল হক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।’

ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী আরও বলেন, ‘এই তিন জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে ৩৭ জন চিকিৎসক করোনায় মারা গেছেন। এ ছাড়া, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাঁচ জন চিকিৎসক।’

আরও পড়ুন:

করোনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নুরুল হকের মৃত্যু

Comments

The Daily Star  | English
10-bed ICU

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

10h ago