টেস্টে উইকেটরক্ষক হিসেবে ফিরতে মুখিয়ে বেয়ারস্টো
উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো ইংল্যান্ড দলে হয়ে পড়েছেন অনিয়মিত। উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পালনে তার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী জস বাটলারের পাশপাশি বেন ফোকসকে পছন্দের তালিকায় এগিয়ে রাখছেন নির্বাচকরা। তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে। তবে বেয়ারস্টো জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে উইকেটরক্ষকের ভূমিকাতে ফিরতে চান তিনি।
ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ৩০ বছর বয়সী তারকার। গেল বছর নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাদ পড়েছিলেন তিনি। পরের মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলেছিলেন মাত্র একটি ম্যাচ। এরপর চলতি বছরের মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট স্কোয়াডেও জায়গা মেলেনি তার। করোনাভাইরাসের কারণে সিরিজটি যদিও মাঠে গড়ায়নি, স্থগিত হয়ে গেছে অনির্দিষ্টকালের জন্য।
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক হলেন বাটলার। পাঁচটি টেস্ট খেলা ফোকসকে অবশ্য টেকনিক্যাল দিক থেকে তিনজনের মধ্যে সেরা হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। তাই দলে ডাক পেলেও উইকেটরক্ষক হিসেবে ফেরাটা বেয়ারস্টোর জন্য বেশ কঠিন। তা ছাড়া, ইংল্যান্ড দলের প্রধান নির্বাচক এড স্মিথও কয়েক মাস আগে জানিয়েছিলেন যে, এই ডানহাতিকে ভবিষ্যতে কেবল বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবেই দেখতে চান তারা।
আবারও সাদা পোশাকে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করা বেয়ারস্টো অবশ্য ফিরতে চান নিজের পছন্দের ভূমিকায়। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের কাছে মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার উইকেটকিপিং নিয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। ক্যারিয়ারের শুরুতে একটু সমস্যা হয়েছিল। লোকেরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল আমাকে। কিন্তু গেল কয়েক বছর ধরে তারা এটা নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। আমি পরিসংখ্যানের দিকে নজর রেখেছি এবং (উইকেটরক্ষক হিসেবে) আমার পরিসংখ্যান খুবই ভালো। সুতরাং এই ভূমিকায় ফিরে আসতে না চাওয়ার কোনো কারণ আমি দেখি না।’
আট বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত মোট ৭০টি ম্যাচ খেলেছেন বেয়ারস্টো। এর মধ্যে ৪৮টিতে তিনি পালন করেছেন উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব। বাকিগুলোতে তাকে দেখা গেছে পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান হিসেবে। তবে সবশেষ যে সাত টেস্টে তিনি উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় খেলেছেন, সেখানে তার ব্যাটিং গড় মাত্র ১৮.৫৫।
উল্লেখ্য, আগামী মাসে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্ট শুরু হবে আগামী ৮ জুলাই। ভেন্যু সাউথ্যাম্পটন। পরের ম্যাচ দুটি হবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৬ জুলাই। তৃতীয় ও শেষ টেস্ট মাঠে গড়াবে ২৪ জুলাই থেকে। প্রতিটি ম্যাচই হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ও জৈব-সুরক্ষিত পরিবেশে।
Comments