টাইব্রেকারে জুভেন্টাসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন নাপোলি
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে কোনো দল গোল করতে না পারায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। শুরুতেই পাওলো দিবালার শট রুখে দেন নাপোলি গোলরক্ষক অ্যালেক্স মেরেত। এরপর দানিলো মারেন উড়িয়ে। বিপরীতে জুভেন্টাস গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন পারেননি একটি শটও ঠেকিয়ে দিতে।
ফল বুঝে নিতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়! ফেভারিট ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোদের হারিয়ে কোপা ইতালিয়ার শিরোপা জিতেছে নাপোলি।
বুধবার রাতে রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে জুভেন্টাসের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতেছে নাপোলি। ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। সবশেষ ২০১৩-১৪ মৌসুমে কোপা ইতালিয়ার শিরোপাই জিতেছিল তারা।
ম্যাচের ৯০ মিনিট পার হওয়ার পর যোগ করা সময়ে নাপোলির দুটি প্রচেষ্টা অসাধারণ দক্ষতায় রুখে দিয়েছিলেন বুফন। কিন্তু পেনাল্টি শ্যুটআউটে আর জাদু দেখাতে পারেননি তিনি। এই বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে ফাঁকি দিয়ে নাপোলির প্রথম চারটি শট নেওয়া সবাই জালের দেখা পান। লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে, মাতেও পলিতানো, নিকোলা মাকসিমোভিচ ও আরকাদিউস মিলিক সফল স্পট-কিকে লক্ষ্যভেদ করেন।
অন্যদিকে, দিবালা ও দানিলোর ব্যর্থতার পর লিওনার্দো বোনুচ্চি ও অ্যারন রামজে মেরেতকে পরাস্ত করলেও দলের হার এড়াতে পারেননি।
ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল জুভরা। তবে আক্রমণে আধিপত্য দেখায় নাপোলি। প্রথম দিকে চাপে থাকলেও ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নেয় তারা।
পঞ্চম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে রোনালদোর নেওয়া শট রুখে দেন মেরেত। এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক ২০তম মিনিটে রদ্রিগো বেন্তানকুরের দূরপাল্লার শটও ফিরিয়ে দেন।
২৪তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত নাপোলি। ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড ইনসিনিয়ের দারুণ ফ্রি-কিক ৪২ বছর বয়সী বুফনকে ফাঁকি দিলেও বাধা পায় পোস্টে।
৪১তম মিনিটে জুভেন্টাসের রক্ষণভাগকে বোকা বানিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন দিয়েগো দেম। এই মিডফিল্ডারের শট পা দিয়ে রুখে দেন বুফন। পরের মিনিটে ইনসিনিয়েকে আবার হতাশ করেন তিনি।
বিরতির পর দুদলের সামনে আসে বেশ কয়েকটি সুযোগ। কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। ৬১তম মিনিটে নাপোলির পিওতর জিয়েলিন্সকির শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭২তম মিনিটে পলিতানোর পাস থেকে ডি-বক্সের ভেতরে ফাঁকায় বল পেলেও উড়িয়ে মারেন মিলিক। মাঝে দিবালার দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল পেয়েই গিয়েছিল নাপোলি! সার্বিয়ান ডিফেন্ডার মাকসিমোভিচের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন বুফন। তবে পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর আলগা বলে শট নিয়েছিলেন এলিফ এলমাস। সেটাও প্রতিহত করেন বুফন। বল তার হাতে লেগে বাধা পায় পোস্টে। তবে তখন বেঁচে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি জুভেন্টাসের।
Comments