নেপালের নতুন মানচিত্র: পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষেও সংবিধান সংশোধন বিল পাস
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/nepal_0.jpg?itok=LvZqniH9×tamp=1592483927)
নেপালের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মানচিত্র হালনাগাদের জন্য সংবিধান সংশোধনী বিলটি দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে।
আল জাজিরা জানায়, ভারত নিয়ন্ত্রিত তিন অঞ্চল লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ এবং কালাপানিকে নতুন মানচিত্রে যুক্ত করা হয়েছে।
নেপাল পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির চেয়ারপার্সন গনেশ প্রসাদ তিমিলসিনা জানান, বৃহস্পতিবার, দেশটির ৫৯ আসনের পার্লামেন্টে বিলের পক্ষে ৫৭ ভোট পড়ে।
গত সপ্তাহে বিলটি নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে অনুমোদিত হয়েছিল।
সেসময় ভারত এই মানচিত্রটি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, নেপালের এ নতুন মানচিত্রের কোনো ‘ঐতিহাসিক ঘটনা বা প্রমাণের ভিত্তি’ নেই।
নেপালের আইনমন্ত্রী শিব মায়া টুম্বাহাম্ফে সংসদে বলেন, ‘আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে। আমরা (ভারতের সঙ্গে) কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের সমাধান করার জন্য বসব।’
সংবিধান সংশোধনী বিলে রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারীর অনুমোদন প্রয়োজন।
গত মাসে লিপুলেখ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রাস্তা চালু করে ভারত। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিবাদ বেড়েছে। রাস্তাটি কৈলাস মানস সরোবরের তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য চালু করা হয়।
নেপাল জানায়, ওই রাস্তার প্রায় ১৯ কিলোমিটার তাদের ভূখন্ডের উপরে গিয়েছে। রাস্তার উদ্বোধনের সময়ই তীব্র বিরোধিতা করে নেপাল। এটিকে ‘বৃহত্তর প্রতিবেশীর কাছ থেকে হুমকি’র উদাহরণ হিসেবে মন্তব্য করে নেপাল।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ১৮১৬ সুগৌলির চুক্তির আওতায় লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি এবং লিপুলেখ অঞ্চলকে দীর্ঘদিন দাবি করছে নেপাল। নেপাল কখনো উপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিল না। ১৯৬২ সালে ভারত চীন যুদ্ধের পর থেকেই ওই অঞ্চলগুলো ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
Comments