করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে সাংবাদিক কাজল, এশীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামি সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন বলে উদ্বেগ জানিয়েছে এশীয় মানবাধিকার কমিশন।
আজ শুক্রবার সংগঠনটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৭ জুন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন কারারক্ষীর করোনা শনাক্তের পর আটক সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন। বাংলাদেশের কারাগারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও আবাসন সক্ষমতার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি কয়েদি গাদাগাদি অবস্থায় থাকেন। মহামারির মধ্যে জনাকীর্ণ কারাগারগুলো করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর অধীনে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিবিদদের দায়ের করা তিনটি মামলায় পাঁচটি পৃথক অভিযোগে মূলত এই সাংবাদিককে আটক করা হয়।
‘দৈনিক পক্ষকাল’র সম্পাদক সাংবাদিক কাজল গত ১০ মার্চ নিখোঁজ হন। ৫৩ দিন পর ৩ মে তাকে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি থেকে আটক করে বিজিবি। গুম হওয়ার আগে কাজল যৌনকর্মী হিসেবে মানবপাচার নিয়ে প্রতিবেদন করছিলেন। ওই প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষমতাসীন দলের দুজন উচ্চ পর্যায়ের নেতা কাজলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৬ ও ২৯ ধারার অধীনে দুটি মামলা করা হয়।
গত ৩ মে অনুপ্রবেশের দায়ে যশোরের বেনাপোল থানায় বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হয়। পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
শফিকুল ইসলাম কাজলকে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিদ্ধান্তের সত্যায়িত কপি সংগ্রহ করেছে এশীয় মানবাধিকার কমিশন।
সাংবাদিক কাজলের গ্রেপ্তারের বৈধতা পর্যাপ্ত বিচারিক পর্যালোচনা সাপেক্ষে হয়েছে কী না, তা নিয়েও বিবৃতিতে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
Comments