ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জাবির ৬০ শিক্ষক ও ২৩ ছাত্র সংগঠনের

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সক্রিয় ২৩ সংগঠন।
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সক্রিয় ২৩ সংগঠন। 

আজ রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান। 

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে যখন বাংলাদেশের নাগরিকরা হাসপাতালের সামনে চিকিৎসা সেবা না পেয়েই মৃত্যুবরণ করছে তখনই শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, গবেষক কিংবা শিল্পী সবাইকেই বাঁধা পড়তে হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের শিকলে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘‘কটূক্তি’, ‘গুজব’, ‘মিথ্যা রটানো’ ইত্যাদি অজুহাতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়োজিত করা হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন সত্য উচ্চারণের কণ্ঠস্বরের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্রের তাঁবেদারিতে এখন পিছিয়ে নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও। কিছু ক্ষেত্রে বরং তারা আরও এক ধাপ এগিয়ে।’

এই আইনে গ্রেপ্তারকৃত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজুম মুনিরা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমানের মুক্তি দাবি করেন তারা। 

একইসঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিরের বিরুদ্ধে মামলা এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি কে সাদিককে সাময়িক বহিষ্কার করার প্রতিবাদ জানান। 

বিবৃতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা বিধিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ‘কণ্ঠরোধকারী’ আইন হিসেবে উল্লেখ করে এটি বাতিলের দাবি জানানো হয়। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার নাগরিকদের দ্বারা নির্বাচিত ব্যবস্থাপক মাত্র। তাই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন এবং সমালোচনা গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। এক্ষেত্রে কটূক্তি বনাম সুউক্তির বিভেদ তৈরি করে কটূক্তি দমন করতে চাওয়ার বাসনা গণতান্ত্রিক অধিকার বিরোধী।’ 

‘জনপ্রতিনিধি’ কিংবা ‘মন্ত্রীর’ সমালোচনা করার অধিকার প্রজার কাছ থেকে হরণ করার মানে হলো জনগণের মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা বলে ওই বিবৃতি উল্লেখ করেন তারা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago