বাবার মতো হতে চেয়েছেন তারা
আজ জুন মাসের তৃতীয় রবিবার। উদযাপিত হচ্ছে ‘বিশ্ব বাবা দিবস’। সংস্কৃতি অঙ্গনের তিন তারকা বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মনের কথা প্রকাশ করেছেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের কাছে।
ববিতা
জীবন জুড়ে জড়িয়ে আছেন আব্বা। আব্বার আদর্শে বেড়ে উঠার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সত্যিই কি আব্বার আদর্শে বেড়ে উঠতে পেরেছি? আমার বিয়ের মাত্র চার মাস পরেই আমার আব্বা এ এস এম নিজাম উদ্দিন আতাউব ইন্তেকাল করেন। যে কারণে মানসিকভাবে সেসময় ভেঙে পড়েছিলাম। আব্বা সবসময় আমাদের ছয় ভাই-বোনকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বাসায় ফেরার কথা বলতেন।
আমার জীবনে সাফল্যের মূলমন্ত্র কিন্তু আব্বার কাছ থেকেই পাওয়া। এই যে আমি এত পরিপাটি থাকি, গুছিয়ে থাকার চেষ্টা করি, এটা আব্বার কাছ থেকেই পাওয়া। আব্বা অনেক সিনেমা দেখতেন। সিনেমা দেখে দেখে আমাদের মজার মজার গল্প বলতেন এবং সে সব গল্পে আমাদের অভিনয় করতে বলতেন। সেখান থেকেই অভিনয়ে প্রতি আমার অনুপ্রেরণা আসে।
পরবর্তী সময়ে যখন আমি সিনেমার নায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করি, তখনো আব্বা আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিতেন। সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় অভিনয়ের আগে আব্বাই সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে চিঠি আদান-প্রদান করতেন ইংরেজিতে। শুটিংয়ের সময় সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আব্বার চমৎকার একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আমার ইংরেজি শেখার খুব শখ ছিল, তাই আব্বা আমাকে ছোটবেলাতে একটি ডিকশনারি কিনে দিয়েছিলেন। আব্বা আমার জীবনের আদর্শ।
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব
পুলিশ অফিসার বাবার আদর্শে বেড়ে উঠেছি, বড় হয়েছি। বাবা সবাইকে সবসময় একসঙ্গে রাখতে ভালোবাসতেন। একসঙ্গে থাকার মধ্যে সবসময়ই তার ভীষণ ভালোলাগা কাজ করতো। সবার সঙ্গে সবার সবসময় দেখা হয়, কথা হয়, এটাই বাবাকে ভীষণ আনন্দ দিতো।
পারিবারিক বন্ধন এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাবার এই আদর্শকে আমার নিজের মধ্যে লালন করি। আমার সন্তান আয়াশ বাবার মতোই বেড়ে উঠুক এই কামনা করি।
বিদ্যা সিনহা মিম
বাবা শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন। বাবাকে সবাই কত সম্মান করেন, ভালোবাসেন। আমার সঙ্গে এখন বাবা কোথাও গেলে উপভোগ করেন, তার মেয়েকে মানুষ কতটা ভালোবাসছেন। মনটা তখন আনন্দে ভরে যায়।
বাবা ছোটবেলায় ‘টুকটুকি’ বলে ডাকতেন। বড় হওয়ার পর ‘বাবু’ বলে ডাকা শুরু করেন। এখনো বাবু বলেই ডাকেন। বাবা ছাড়া পৃথিবীতে একটি দিনও কল্পনা করতে পারি না।
Comments