বেনাপোলে ২০০ ভারতীয় ট্রাক আটকা ৩ মাস ধরে, বন্দরে জট
বেনাপোল বন্দরে ২০০ ভারতীয় ট্রাক আটকা পড়ে আছে গত তিন মাস ধরে। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা এসব ট্রাকের পণ্য খালাস শেষে ট্রাকগুলো দেশে ফিরতে পারেনি করোনা পরিস্থিতির কারণে। এতে বিপাকে পড়েছেন ট্রাকের সাথে থাকা চালক ও হেলপাররাও। অন্যদিকে বন্দরে যানজট তৈরি হয়েছে আটকে পড়া এসব ট্রাকের কারণে।
বাংলাদেশে আটকে থাকা ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপারদের খাবার সরবরাহ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় ট্রাকচালক সুশান্ত কুমার জানান, ৩ মাস আগে আমদানি পণ্য নিয়ে এসেছি বেনাপোল বন্দরে কিন্তু পন্য খালাস শেষ হলেও আমরা দেশে ফিরতে পারছি না। আমাদের বাইরেও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। ট্রাকের ভেতরেই খাওয়া দাওয়া ও রাত কাটাতে হচ্ছে। যোগাযোগ বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজনেরও খোঁজ নিতে পারছি না।
বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা কলিম উদ্দিন জানান, ২০০ ভারতীয় খালি ট্রাক বন্দরে আটকে আছে গত ৩ মাস ধরে। ফলে বন্দরে যানজট তৈরি হয়েছে। বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি বাণিজ্য পুনরায় চালু হওয়ায়, বর্ষা মৌসুমে শেডের নিচে পণ্য খালাস করতে হয়, কিন্তু ভারতীয় ট্রাক ওইসব শেডের নিচে রেখে দেয়ায় ট্রান্সশিপমেন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। ভারতীয় ট্রাকের কারণে সেখানে বাংলাদেশি ট্রাক রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ভারতীয় ট্রাকগুলো তাদের মালিক ও চালকরাই নিতে আসছেন। আমরা বারবার ভারতীয় ট্রাক মালিকদের ও পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি আটকে পড়া ট্রাক শ্রমিকদের ফেরত নিতে তারা কোন কিছুতে কর্ণপাতই করছেন না। সব কিছু বেনাপোল বন্দরের ওপর নির্ভর করে না। অবশ্য কিছু চালক এরই মধ্যে ভারতে ফিরে গেছেন।
এদিকে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি পণ্য নিয়ে যাওয়া ৭০টি খালি ট্রাক তিন মাস ধরে আটকা পড়ে আছে পেট্রাপোল বন্দরে।
জানতে চাইলে মামুন কবির বলেন, বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে শ্রমিকরা প্রবেশ করতে না পারায় ভারতে আটকে থাকা বাংলাদেশি ট্রাক ফেরত আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ট্রাকগুলো ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।
করোনা লকডাউনের কারণে গত ২২ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দরের সাথে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে দুদেশের মধ্যে। আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত ৭ জুন থেকে পুনরায় শুরু হয় দুদেশের মধ্যে আমদানি বাণিজ্য। কিন্ত রপ্তানি কার্যক্রম এখনও চালু হয়নি।
Comments