সীমান্ত সংঘর্ষে ৪০ চীনা সেনা নিহতের খবর নাকচ করল চীন

সীমান্ত সংঘর্ষে চীনের ৪০ সেনা নিহতের খবর জানিয়েছিল ভারতীয় গণমাধ্যম। ছবি: এএফপি

গালওয়ান সীমান্তে ভারত-চীন সেনা সংঘর্ষে অন্তত ৪০ চীনা সেনা সদস্য নিহত হওয়ার খবরকে প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং। ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাতে সীমান্ত সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন চীনা সেনা নিহত হওয়ার খবর ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়।

মঙ্গলবার, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই প্রতিবেদনগুলোকে ‘ফেইক নিউজ’ বলে মন্তব্য করেছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে দুই দেশের সামরিক কমান্ডিং অফিসার স্তরে আলোচনার পর সমঝোতার বিষয়ে দুই দেশের একমত হওয়ার কথা জানিয়েছে বেইজিং।

সেসময় চীনা সেনা নিহত হওয়ার খবর নিয়ে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনগুলো নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘আমি আপনাকে দায়িত্বের সঙ্গে বলতে পারি যে, এ তথ্য সঠিক নয়।’

তিনি জানান, সোমবার দুপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সীমান্ত অঞ্চল পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। পরিস্থিতি উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বৈঠকে চীন ও ভারতের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিয়ে সংলাপের মাধ্যমে পরিস্থিতি পরিচালনা ও উত্তেজনা কমাতে দুপক্ষই রাজি হয়েছে। আমরা সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার ও একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও একমত হয়েছি।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দুই দেশের সামরিক কমান্ডিং অফিসার স্তরের ওই বৈঠক ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে।

এদিকে, আগামী বুধবার রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্যারেডে অংশ নেবেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংগে এবং ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মস্কোতে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে ভারত ও চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানান, চীন ও ভারতের মধ্যে বিবাদে মস্কো হস্তক্ষেপ করবে না।

তিনি বলেন, ‘ভারত ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা করা কখনোই আমাদের লক্ষ্য না। নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে যে কোনো সমস্যা সমাধানের সুযোগ ভারত ও চীনের আছে।

এর আগে, ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উভয় পক্ষই তাতে অস্বীকৃতি জানায়। গত শনিবার ট্রাম্প জানান, ভারত ও চীনের সাথে এই বিরোধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করবে।

Comments

The Daily Star  | English
Starlink logo

BTRC approves licence for Starlink

This is the swiftest recommendation from the BTRC for any such licence, according to a BTRC official.

9h ago