সরকার একটা অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খুঁজে বেড়াচ্ছে: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/dr.-zafrullah12.jpg?itok=_Z72JdC-×tamp=1593088091)
করোনা পরিস্থিতিতে সরকার একটা অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খুঁজে বেড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের গেরিলা কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্তিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও চিকিৎসা ব্যয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়াও, ‘করোনা বনাম বিশ্ব পুঁজিবাদ: ২০২০-২১ বাংলাদেশ বাজেট’ শীর্ষক বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যয় অত্যধিক। মানুষ ফতুর হয়ে যায়। তাই আমি চেষ্টা করেছি, আমার এই চিকিৎসাতে কত টাকা খরচ হয়েছে, তার কিছুটা হিসাব দিতে। পুরোপুরি হিসাবটা আজকে দিতে পারছি না সময় স্বল্পতার কারণে। আমার সহকর্মী মেডিকেল অফিসার (জুনিয়র), সে কিছুটা লিপিবদ্ধ করেছে। সে আপনাদেরকে সংক্ষিপ্ত আকারে পড়ে শোনাবে। ভবিষ্যতে পুরো লেখাটা আপনাদের যারা উৎসাহী হবেন (তাদের) পাঠিয়ে দেবো।’
এরপর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাকালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসা ব্যয় সংক্ষিপ্ত আকাতে তুলে ধরেন তার সহকর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের বাস্তবতায় সরকারে করোনা রেসপন্স’ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সরকার একটা অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খুঁজে বেড়াচ্ছে। করোনা সমস্যাটা কীভাবে সমাধান করবে, (সেটি) তাদের চিন্তার মধ্যে নেই। (করোনার) মূল প্রবাহ তো আসবে এই মাসে বা পরের মাসে, যখন এটা গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়বে। সেই জন্য একটা সুস্থ স্বাস্থ্যব্যবস্থা দরকার।’
‘আপনারা যদি কষ্ট করে পরবর্তী সেশনের বাজেট সংক্রান্ত লেখাটা পড়েন, তাতে কিছুটা দিকনির্দেশনা আছে। এটা জনগণ দাবি উঠানো ছাড়া, আওয়াজ উঠানো ছাড়া বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তো নয়ই, কোনো ক্ষেত্রেই (উন্নতি) হবে না। এজন্য আমাদের স্বাস্থ্য আন্দোলনটাকে শক্ত করে গড়ে তুলতে হবে’, বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষাতেই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে ১৩ জুন তার করোনামুক্ত হওয়ার সংবাদ জানানো হয়। এক্ষেত্রেও প্রথমে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। পরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলেও তার কোভিড-১৯ নেগেটিভ আছে।
Comments