বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায় খাবার পানির যোগান দেবে ন্যানো ফিল্টার

বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত মানুষের নানা কষ্টের মধ্যে অন্যতম কষ্ট হচ্ছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। এখানের অনেক এলাকায় এখানো গভীর নলকূপ বসানো হয়নি। বিশুদ্ধ পানির সংকট মেটাতে পুকুরের বা দিঘীর পানিকে জীবাণুমুক্ত করতে বাগেরহাটের কিছু এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে ৭৫টি ন্যানো ফিল্টেশন ইউনিট।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ‘ভূ-উপরিস্থ পানি পরিশোধনের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি, বাগেরহাট ও ফরিদপুর জেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় এগুলো স্থাপিত হবে।
এর মাধ্যমে পুকুর বা দিঘী থেকে বৈদ্যুতিক মটরের মাধ্যমে ট্যাংকিতে পানি টেনে নিয়ে চার ধাপে পানিকে বিশুদ্ধ করে ঘণ্টায় ৯৬০ লিটার জীবাণুমুক্ত পানি সরবরাহ করা হবে। এর প্রত্যেকটিতে খরচ ধরা হয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে শরণখোলায় ১৮টি, মোংলায় ১৪টি, চিতলমারী উপজেলায় নয়টি, কচুয়ায় নয়টি, মোরেলগঞ্জে ২৫টি ন্যানো ফিল্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ আগস্টের মধ্যে সব ইউনিটের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন দাস বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের জয়পুর ও বলভদ্রপুরে দুটি ন্যানো ফিল্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ফলে, এ এলাকার মানুষের অনেক দিনের পানির সংকটের সমাধান হবে এবং এর মাধ্যমে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।’
মোরেলগঞ্জ উপজেলার বলভদ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখর দাস বলেন, ‘আমাদের এখানে খাবার পানির তীব্র সংকট আছে। ন্যানো ফিল্টার স্থাপনের ফলে অনেক দিনের বিশুদ্ধ পানির সংকটের সমাধান হবে। এই এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় যে পন্ড স্যান্ড ফিল্টার ছিল সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা ২০ লিটার পানি ৩৫-৪০ টাকায় কিনে খেতাম সেটা এখন আর লাগবে না।’
কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম শিকদার বলেন, ‘আমার এলাকায় খাবার পানির খুবই সমস্যা ছিল। এখানে একটা ন্যানো ফিল্টার আসায় এই এলাকার পানির সমস্যার সমাধান হবে।’
বাগেরহাটের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এফ এম ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বাগেরহাট জেলার শরণখোলায় ১৮টি, মোংলায় ১৪টি, চিতলমারী উপজেলায় ৯টি, কচুয়া উপজেলায় ৯টি, মোরেলগঞ্জে ২৫টি ন্যানো ফিল্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ন্যানো ফিল্টার থেকে ঘণ্টায় ৯৬০ লিটার বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাবে।’
Comments