শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহারে শাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের আবেদন

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে ফেসবুকে অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের দশদিন পর তা প্রত্যাহারের আবেদন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে ফেসবুকে অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের দশদিন পর তা প্রত্যাহারের আবেদন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার মামলা প্রত্যাহারের জন্য জালালাবাদ থানায় একটি আবেদন দাখিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মামলার বাদী মোহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অকিল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আইনত আমরা মামলা প্রত্যাহার করতে পারি না, তবে এ আবেদন আমরা সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণ করব এবং আদালত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।’

গত ১৩ জুন মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহির চৌধুরী। তবে, এ নিয়ে সমালোচনার পর পোস্টটি মুছে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। তার দুদিন পর ১৫ জুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ২৯ ধারায় তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হয়ে মামলা দায়ের করেন রেজিস্ট্রার।

তখন রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেছিলেন, ‘একজন জাতীয় নেতা এবং মৃত একজন মানুষের বিরুদ্ধে সে অবমাননাকর স্ট্যাটাস দিয়েছে, যেটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেকেই কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন। তার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনানুগ মামলা দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরীয় রুলের না হলেও বিষয়টি “স্টেট অব ল” ভায়োলেট করেছে। কর্তৃপক্ষ স্বপ্রণোদিত হয়ে না, বরং উপাচার্যের কাছে অনেক অভিযোগ এবং দাবির প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার ও বুধবার দুটি পৃথক বিবৃতিতে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ২৮৬ ও বর্তমান ১ হাজার ১২০ জন শিক্ষার্থী।

বিবৃতিতে তারা মাহিরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ও মামলা দায়ের স্বাধীন ও মুক্ত ক্যাম্পাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চেতনা-বিরোধী হিসেবে উল্লেখ করেন।

মামলা প্রত্যাহারের আবেদনের বিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইশফাকুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে কল ধরেননি এবং পরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: 

Comments

The Daily Star  | English

A paradigm shift is needed for a new Bangladesh

Paradigm shifts on a large scale involve the transformation of society.

4h ago