পাচার হওয়া সরকারি ওষুধ সংরক্ষণ-বিক্রির দায়ে ফার্মেসি মালিক গ্রেপ্তার
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/lalmonirhat_23.jpg?itok=8o-UhjWQ×tamp=1593154754)
লালমনিরহাট শহরের পুরানবাজার এলাকায় পাচার হওয়া সরকারি ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রির দায়ে টাউন ফার্মেসির মালিক সারাফাত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ফার্মেসিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের পাচার হওয়া সরকারি ওষুধ জব্দ করেছে পুলিশ।
সরকারি ওষুধ পাচারে জড়িত থাকার দায়ে গত ২৩ জুন গ্রেপ্তার হওয়া দম্পতির দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে টাউন ফার্মেসিতে অভিযান চালায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার সারাফাত আলী শহরের ওয়্যারলেস কলোনির মৃত শমসের আলীর ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম বলেন, ‘পাচার হওয়া সরকারি ওষুধ কালোবাজারে বিক্রি করা সিন্ডিকেট সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ইতোমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা এই সিন্ডিকেটের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সেই তথ্য অনুযায়ী পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। পাচার হওয়া সরকারি ওষুধ কালোবাজারে বিক্রি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা ইতোমধ্যে স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার হওয়া টাউন ফার্মেসির মালিক সারাফাত আলী।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো সিন্ডিকেটের সদস্যদের চিহ্নিত করে পুলিশ সবাইকে গ্রেপ্তার করবে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।’
ওসি জানান, শহরের টাউন ফার্মেসির মালিক সারাফাত আলী দীর্ঘদিন যাবত পাচার হওয়া সরকারি ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি করে আসছেন। তিনি শহরের সবগুলো ক্লিনিকে পাচার হওয়া সরকারি ওষুধ সরবরাহের কাজ করতেন। জেলায় সরকারি ওষুধ পাচার ও কালোবাজারে বিক্রির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। সারাফাত ওই সিন্ডিকেটের একজন সদস্য। স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন সরকারি সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিভিল সার্জনের স্টোর রুম, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে সরকারি ওষুধ পাচার করে সিন্ডিকেটটির মাধ্যমে তা কালোবাজারে বিক্রি করে আসছে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যারা সরকারি ওষুধ পাচার ও কালোবাজারে বিক্রি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত, তারা যেই হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের কাছ থেকে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। সেই তথ্য অনুযায়ী পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’
আরও পড়ুন:
১৭ কার্টন সরকারি ওষুধ-চিকিৎসা সরঞ্জাম উদ্ধার, দম্পতি গ্রেপ্তার
Comments