প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলেন চা-বাগানের শিক্ষার্থীরা

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করা হয়েছে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায়।
Stipend
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া শিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করছেন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার চা-বাগানের শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্টার

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করা হয়েছে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায়।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সঙ্গে চা-বাগানে থাকা নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বড় পরিসরে প্রথমবারের মতো পেলেন প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার।

গতকাল শনিবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকৌশলী ইশতিয়াক হাসান, আন্তঃপুঞ্জি উন্নয়ন সংগঠন কুবরাজের সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মাহফুজ শাকিল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গরিব-মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তি হিসেবে চা-শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৮০ শিক্ষার্থীকে ৪ লাখ টাকা ও উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ১৫ শিক্ষার্থীকে ২৫ হাজার করে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

শিক্ষাবৃত্তি হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তালিকা অনুযায়ী ৫০টি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৩টি চা-বাগানে বসবাস করে’ উল্লেখ করে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী খোকন কুর্মী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গরিব-মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি এবারই প্রথম আমরা বৃহৎ পরিসরে পেয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।’

১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সারথি মাহালি ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তালিকায় আমাদের জাতিগোষ্ঠীর নাম অনেক আগে থেকে থাকলেও আমরা এবারই প্রথম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রচেষ্ঠায় তা পেয়েছি। এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকবার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করে থাকি। চা-বাগানে থাকা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বড় পরিসরে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পেল।’

‘আমরা চাই পিছিয়ে পড়া সব জনগোষ্ঠী এগিয়ে আসুক। এজন্য উপজেলা পর্যায়ের প্রত্যন্ত ‍অঞ্চলগুলোতে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, যেন কেউ বঞ্চিত না হয়,’ যোগ করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান বলেন, ‘আগে আমরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলতে খাসি, গারো, সাঁওতাল, মণিপুরীদের বুঝতাম। কিন্তু, এবারই প্রথম বোঝা গেল চা-বাগানেও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস আছে। তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলায় আমাদের লক্ষ্য।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago