শীর্ষ খবর
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল

​ইউনানী চিকিৎসককে কারাদণ্ড দেওয়া নিয়ে র‍্যাব ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য

রাজধানীর মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ইউনানী চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও র‍্যাবের দিক থেকে।
মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে র‍্যাব অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একজন ইউনানী চিকিৎসককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ইউনানী চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও র‍্যাবের দিক থেকে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী মিজানুর রহমান শুধু ইউনানী চিকিৎসাই করতেন। তবে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বলছেন, ইউনানী চিকিৎসক হয়ে তিনি অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। ব্যবস্থাপত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিতেন।

র‍্যাবের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মিজানুর রহমান সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল থেকে ডিগ্রিধারী এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত। তার উচ্চতর ডিগ্রি রয়েছে। সব সনদ যাচাই করেই আমরা তাকে নিয়োগ দিয়েছি। তিনি রোগীদের ইউনানী চিকিৎসা দিতেন। এর বাইরে কোনো ব্যবস্থাপত্র দিতেন না।

তাহলে অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিবাদ করেনি--জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কথা বলার সুযোগ পাইনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

হাসপাতালে অভিযানে থাকা র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ইউনানী ডিগ্রিধারী হিসেবে তিনি তার নামের পাশে ইউনানী প্র্যাক্টিশনার লিখতে পারেন। আইন অনুযায়ী তিনি কখনই তার প্রেসক্রিপশনে নামের পাশে ডাক্তার লিখতে পারেন না। তিনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরিচয়ে ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসাও দিতেন। তিনি রোগীদের বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্ট করতে দিতেন, যেটি অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকরা করতে দেন। আমরা হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খোঁজ করেও সেখানে পাইনি।

আজ বেলা ১২টা থেকে চার ঘণ্টা ধরে হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় র‌্যাব-৩ এর একটি দল। ইউনানী চিকিৎসককে কারাদণ্ডের পাশাপাশি হাসপাতালটির ফার্মেসিতে অনুমোদনহীন ওষুধ রাখায় শফিউল ইসলাম ও আব্দুল জলিল নামের দুজনের প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারভাইজার মো. হাসিনুর রহমানকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: 

১২ বছর ধরে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন ভুয়া ডাক্তার

Comments

The Daily Star  | English

Witnessing atrocities in Gaza on social media

Social media's addition as a new paradigm to news dissemination and consumption is not a recent development. Yet, with the ongoing Israeli attack and occupation of Gaza, it is playing a more prominent role than usual, given the deep differences that exist between how news from the region is being packaged by media outlets in the West and the rest of the world

1h ago