চীনে ‘বিতর্কিত’ হংকং নিরাপত্তা আইন পাস, যুক্তরাজ্য-ইইউর উদ্বেগ

চীনের পার্লামেন্টে ‘বিতর্কিত’ হংকং নিরাপত্তা আইন পাস হয়েছে। মঙ্গলবার, পার্লামেন্টে হংকং বিষয়ক জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিলটি সর্বসম্মতিতে পাস হয়। পরে আইনটিতে সই করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মঙ্গলবার, বেইজিং আইনটির খুঁটিনাটি স্পষ্ট করবে বলে আশা করা হলেও এখনো আইনটির কোনো খসড়া জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।
হংকংয়ের নেতা কেরি ল্যাম জানান, আইনটির শর্ত নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি এটি নিয়ে আলোচনা করছে।
হংকং সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, মঙ্গলবার থেকেই আইনটি কার্যকর হবে। চীন জানায়, বিস্তৃত গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত অশান্তি ও অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় এই আইনটি প্রয়োজন।
নতুন এই আইনের পরপরই হংকংয়ের অন্যতম প্রধান গণতন্ত্রপন্থী দল ডেমোসিস্তো তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ওই দলের নেতৃত্বে থাকা অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কর্মী জোশুয়া ওয়াং দল ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই ডেমোসিস্তো ফেসবুকে এ ঘোষণা জানায়।
এদিকে, আইনটির বিরোধীতা করে বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদরা। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডমিনিক রাব চীনকে ‘পথ থেকে সরে দাঁড়াতে’ ও হংকংয়ের জনগণের অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেল বলেন, ‘এটি হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এটি বিচার বিভাগ ও আইনের শাসনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। আমরা এই সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন।’
এদিকে, ন্যাটোর সেক্রেটারি-জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, এটা স্পষ্ট যে, চীন আমাদের মূল্যবোধ - গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী না।
জাপান এই আইনটিকে ‘অনুশোচনার যোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছে। তাইওয়ান এমনকি নাগরিকদের হংকং ভ্রমণে ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করেছে।
হংকং নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাবনার পরপরই এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানায় যুক্তরাষ্ট্র। হংকংয়ের সঙ্গে বিশেষ বাণিজ্য সম্পর্কের অবসান ঘটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ট্রাম্প।
হংকং জাতীয় নিরাপত্তা বিলে দেশদ্রোহিতা, বিচ্ছিন্নতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর অধীনে হংকংয়ের আইন প্রণেতা ছাড়াই সেসব অপরাধে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার সুযোগ পাবে চীনা কর্তৃপক্ষ।
Comments