রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের আম এখন ইতালির বাজারে

প্রথমবারের মতো বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বিষমুক্ত আম। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও হর্টিকালচার সেন্টার উদ্যোগ নিয়ে ইতালি, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে আম রপ্তানি শুরু করেছে।
সূত্র জানায়, এ বছর রাঙ্গামাটিতে তিন হাজার ৩৭০ হেক্টর জমির আম বাগান থেকে ৫০ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন উপৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই হাজার ছয় শ কেজি আম ইতালিতে এবং পাঁচ শ কেজি যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি দেশের প্রায় আট টন আমের চাহিদা আছে।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বগাছড়ি এলাকার একটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক কেউ গাছ থেকে আম পাড়ছেন, কেউ মোড়কজাত করছেন। একই বাগানে আছে হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংরা, হাড়িভাঙ্গা, আশ্বিনী, রুপালি এবং আম্রপালি জাতের আম।
বাগানের মালিক মো. মানিক খান (৩৫) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত বছর প্রায় ১২ একর জমির এই বাগানটি আমি লিজ নিয়েছি। আগে এত আম হতো না। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী এক বছর ভালোমতো পরিচর্যা করায় এবার প্রচুর আম ধরেছে। এখন আমার বাগানের আম বিদেশে যাচ্ছে।’
একই এলাকায় মো. ইমদাদুল হকের (৩৮) আমের বাগান আছে। প্রায় ২৫০টি গাছে প্রচুর আম ধরেছে। ইমদাদুল হক বলেন, ‘স্বাদ ও আকার ভালো হওয়ায় কৃষি অফিস থেকে আমার বাগানের আম রপ্তানির জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এতে আমি কৃষি কাজে আরও বেশি উৎসাহী হয়েছি।’
রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, ‘দেশের অন্য এলাকার চেয়ে পার্বত্য এলাকার আমের স্বাদ আলাদা। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় আগে দেশের বাজারেই পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এ বছর থেকে আম বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে। আশা করছি, প্রতিবছর পাহাড় থেকে হাজার টন আম রপ্তানি করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দিচ্ছি কীভাবে গাছের পরিচর্যার করলে বেশি ফলন পাওয়া যাবে। তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
Comments